Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাভাইরাস : বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ হংকং-এর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩১ পিএম

চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং-এর বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। মূলত সংক্রামক করোনাভাইরাস এড়াতেই গতকাল মঙ্গলবার এমন পরামর্শ দিয়েছেন অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেন হংকং-এর প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বাড়ানোর অংশ হিসেবে আমরা লোকজনকে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছি। তবে এই মুহূর্তে আমরা এটি বাধ্যতামূলক করছি না। কেননা, হংকং-এর সমাজ ব্যবস্থা উন্মুক্ত।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই হংকং-এর বিভিন্ন স্থানে রেস্টুরেন্ট ও শপিং মলগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেকে ঘরে বসে কাজ করছে। স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে।
চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর শোভাযাত্রা ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এগারোশ ছাড়িয়েছে। আর ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে এ ভাইরাস সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। এখনও হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত বহু রোগী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভিন্ন এক ব্যবস্থা চালু করেছে দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডং-এ অবস্থিত গুয়াংডং প্রভিন্সিয়াল পিপলস হসপিটাল। সেখানে আক্রান্তদের ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করতে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।

ছোট ফ্রিজ আকৃতির দুই চাকাযুক্ত এসব রোবট হাসপাতালের ভেতরে চলাচলে সক্ষম। তারা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা রোগীদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছাতে পারে। নিজেরাই প্রয়োজন অনুযায়ী, আক্রান্তদের কক্ষের দরজা খুলতে ও বন্ধ করতে পারে।

সংক্রমণ এড়াতে রোবট ব্যবহার শুধু ওই হাসপাতালেই সীমাবদ্ধ নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে হোটেল এমনকি দোকানপাটেও প্রযুক্তির এমন সহায়তা নেওয়ার খবর মিলেছে। কোথাও আবার দোকান থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে পাউরুটির মতো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে রোবট।

এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে চীনে বিশেষজ্ঞ তদন্ত দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানোম বলেন, “চীনে কখনও ভ্রমণ করেননি এমন মানুষের মধ্যেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারটি উদ্বেগজনক। এটা হয়তো ‘কেবল শুরু’। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, ‘একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার জন্য দেশগুলোকে করোনা ভাইরাসের জন্য তৈরি থাকতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে, দ্রæত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির ব্যবস্থা তৈরি রাখা, বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা যা প্রয়োজনে কাজে লাগবে।’ সূত্র : আল-জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হংকং

২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ