পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বাংলাদেশের ভূ-খন্ডে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি কৃষক ছলেমান (৪৭) এর মৃত্যু হয়েছে। বিএসএফ’র গুলিতে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন কুষ্টিয়ার অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম। একই সাথে নিহত ছলেমানের লাশ আজ বোরবার হস্তান্তর করা হতে পারে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিহত ছলেমান দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছলিমেরচর এলাকার শাহাদতের ছেলে।
লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, শুক্রবার দুপুরে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোলাইমান মোল্লা মারা যান। বিএসএফ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তার লাশ দেশে নিয়ে আসার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিজিবি ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছলিমেরচর সীমান্ত এলাকার কৃষক গাজী, রুবেল, ছলেমান, আরিফুল ও সাহাবুল ১৫৭/২(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশী ভূ-খন্ডে নিজ জমিতে রায়-সরিষা কর্তন করছিল। এসময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ কমান্ডেন্ট অধিনস্থ মুরাদপুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ বিনা উস্কানিতে তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে কৃষক ছলেমান গুলিবিদ্ধ হলে অপর কৃষকরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচে।
এসময় গুলিবিদ্ধ কৃষককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পালিয়ে আসা কৃষক আরিফুল ইসলামের ভাষ্য মতে ছলেমানকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ তাকে বেধড়ক মারপিট করে। ছলেমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্ষেতের পাশের একটি ঝোপে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় বিএসএফ তাকে খুঁেজ বের করে মারপিট করে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ছলেমান মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।