বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাহাড়ের মানুষের জীবন সমতলের উন্নয়নের সাথে সমান্তরাল করতে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, তাঁর স্বপ্ন উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে তা কোনোভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। পাহাড়ের উন্নয়ন ভাবনা ও জনগণের চাহিদা বিষয়ে তিন পার্বত্য জেলার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রী পরিষদের দুই শক্তিশালী সদস্য তাজুল ইসলাম এমপি ও বীর বাহাদুর এমপি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, বহুমুখী সমস্যার সমাধান করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দূর্গম পাহাড়ের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখানকার তৃণমূল পর্যায়ের জন প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ কারণেই পাহাড়ের উপজেলাগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে পূর্বনির্ধারিত বরাদ্ধ ৬ লাখ টাকা থেকে বাড়ানো, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে গ্রাম আদালতকে অধিক কার্যকর করা, এখানকার দূর্গমতার বিষয়টি সামনে রেখে থোক বরাদ্ধ বাড়িয়ে দেয়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অন্তর্ভূক্ত করাসহ জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব বাসভবন নির্মাণে সহায়তাসহ পার্বত্যাঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে থোক বরাদ্ধ আরো বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব বিষয় বাস্তবায়ন করা হবে বলেও মন্ত্রী তিন পার্বত্য জেলার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটির উসাই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর আচার্য এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এনায়েত উল্লাহ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় তিন পার্বত্য জেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যান, তিন উপজেলা চেয়ারম্যান, এক পৌরমেয়র ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় এলজিইডির পক্ষ থেকে তিন পার্বত্য জেলায় চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে মতামত দেন বক্তারা। প্রসঙ্গক্রমে রাঙামাটিতে কাপ্তাই, রাজস্থলী এবং রাঙামাটি সদরের সড়ক উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন জনপ্রতিনিধিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।