পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আল-আকসা মসজিদ থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে। শুক্রবার জুমার নামাজের উদ্দেশে সেখানে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে তাদের নামাজ আদায় করতে দেয়নি ইসরাইলিরা। খবরে বলা হয়, শুক্রবার সকালে ফিলিস্তিনিদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস জেরুজালেমে প্রবেশ করে। সে সময় ইসরাইলি বাহিনী ওই বাসগুলোকে আটক করে। তারা বাসগুলোকে ইউটার্ন করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ইসরাইলি দখলদারী বাহিনীর দাবি, ওই এলাকায় বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। টাইমস অব ইসরালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল আকসা মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় অতিরিক্ত কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, গুলি করে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরাইল। স¤প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরপর চার ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। পরে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে তেল আবিব। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জেনিনে একটি বাড়ি ভেঙে দিতে অভিযান চালায় দখলদার বাহিনী। এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ইয়াজান আবু তাবিখ নামের এক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ও তারেক বাদওয়ান নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। আর জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের কাছে পুলিশের ওপর গুলির অভিযোগে এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এর একদিন আগে বুধবার হেবরনে আরেক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে দখলদার ইহুদি বাহিনী। বৃহস্পতিবার জেরুজালেমে এক গাড়ি হামলায় আহত হয়েছে ১৬ ইসরাইলি সেনা। ফিলিস্তিনিরা গাড়ি দিয়ে ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী। তাছাড়া, শহরটিতে একটি গুলির ঘটনাতেও এক ইসরাইলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইসরাইলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রসেনফেল্ড ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই গাড়িচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প‚র্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একইসঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর যখন ইসরাইল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতো। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা। ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরাইল। অবশ্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশ ইসরাইলের এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। শুক্রবার সকালে উত্তর ইসরাইল থেকে মসজিদের দিকে যাওয়া মুসল্লিদের বাধা দিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। তাদেরকে বাসে করে ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। রসেনফেল্ড এএফপিকে বলেছেন, ‘জেরুজালেমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পবিত্র নগরীর ভিতরে ও বাইরে অতিরিক্তি সেনা ও পুলিশ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।