পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।আজ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদে এ দোয়া করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে দুই হাত তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খুতবায় করোনা থেকে মুক্তির জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও বলেন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা।
সিলেটে বিভিন্ন মসজিদে ইমামরা খুতবায় করোনাসহ মহামারিতে জীবন রক্ষায় মানুষের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে খুতবায় আপাতত গণজমায়েত এড়িয়ে চলে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনা সংক্রমণ থেকে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্তদের আরোগ্য কামনা করে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন মুসল্লিরা।
আজ শুক্রবার (২ জুলাই) সিলেটের শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম মুসল্লি দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগ থাকায় মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি লক্ষণীয় ছিল। শাহজালাল (রহ.) মসজিদে নামাজ শেষে আলী হোসেন নামের এক মুসল্লি বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ আজ করোনা মহামারির আতঙ্কে রয়েছে। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে দোয়া করেছি, যেন করোনাভাইরাস থেকে তিনি আমাদের মুক্তি দেন।
এদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজে মুসল্লির উপস্থিতি কম ছিল। মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে মসজিদে আসা-যাওয়া করেছেন। মুসজিদে ইমামরা উপস্থিত মুসল্লিদের মহামারি থেকে বাঁচতে কোরআন-হাদিসের আলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন ও সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। জুমার জামাত শেষে করোনা থেকে মুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় সকল জেলার মসজিদে মসজিদে করোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্তির লক্ষে এবং অসুস্থদের সুস্থতার জন্য বিশেষ এই দোয়া করা হয়। তবে চলমান লকডাউনের কারণে মুসল্লির উপস্থিতি কম ছিল বলে জানা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।