Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শুকিয়ে যাচ্ছে সর্তাখাল খননের দাবি স্থানীয়দের

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

শুকিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের রাউজানের খরস্রোতা সর্তা খালের পানি। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা সর্তাখালটি রাউজান ও ফটিকছড়ির দু-উপজেলা বয়ে হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। খালটি খননের দাবি করছেন খাল পাড়ের বাসিন্দাদের।
জানা গেছে, রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়ন, ডাবুয়া ইউনিয়ন, চিকদাইর ইউনিয়ন, নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন, গহিরা ইউনিয়ন ও রাউজান পৌর এলাকার আংশিক বয়ে হালদার নদীর সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া বর্মাছড়ি থেকে খালের পশ্চিম পাশে ফটিকছড়ির খিরাম ইউনিয়ন, নানুপুর ইউনিয়ন, ধর্মপুর ইউনিয়ন, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নেরর শত শত পরিবার বসবাস করে থাকেন। বর্ষাখালে পানির তীব্র স্রোতে মানুষের বাড়ী ঘর গাছপালা ভেঙ্গে ভেসে যায় প্রতিবছর। ক্ষতি হয় রাস্তা ঘাটের। ’৭০ দশকে খাল ছিল প্রসস্থ ও খোলামেলা। একসময় খালের বাঁধ না থাকায় পানি চতুর্দিকে ছড়িয়ে যেত। পরবর্তী ’৮০র দশকে খালের উভয় পাশে কিছু জায়গাতে দেওয়া হয় বাঁধ। আবার কিছু কিছু জায়গা রয়ে যায় অরক্ষিত। ফলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে থাকে। এদিকে গত কয়েক বছর থেকে খালটি নাব্য হারিয়ে সরু হতে থাকে। উভয় পাশ ভরে গিয়ে চিকন চরায় পরিণত হয় খালটি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় খালটি আগের থেকে গভীর হলেও একদম চিকন (সরু) হয়ে পড়েছে মূল খালের অবস্থান। এতে করে বর্ষাখাল আসলে পাহাড়ী ঢল নিমিষেই উঠে পড়ে মানুষের বাড়ি ঘরে।
স্থানীয়রা বলছেন, খালটি খনন করলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। কেননা বর্ষাখাল আসলে সর্তা ও ডাবুয়া খালের পানির কারণে আমাদের এলাকার মানুষ কমপক্ষে এক সপ্তাহ পানিবন্দি থাকেন।
আমির চৌধুরী জামে মসজিদের পেশ ইমাম খালের পাড়ের বাসিন্দা হাফেজ মাওলানা নুরুল আবছারের মতে খাল খননের পাশাপাশি খালের বাঁক গুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
কারন বেশিরভাগ বর্ষাকালে খালের বাঁক গুলো ভেঙ্গে এলাকায় পানি ডুকে পড়ে। তাঁর মতে বাঁক গুলো বড় করে কেটে সেখানে পাথরের ব্লক বসাতে হবে। সর্তাখালের বর্মাছড়ি থেকে হালদা নদী পর্যন্ত আঁকা বাঁকা প্রায় ৫০ কিলোমিটার খালের চিকন হয়ে যাওয়া অংশে খাল খনন করলে জোয়ার ভাটার মাধ্যমে নৌকাযোগে মালামাল আনা নেওয়া করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ইরি বোরো চাষ ও মাছের প্রজনন বাড়বে বহু মাত্রায়। সবমিলিয়ে খালটি খনন করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খনন

১৮ এপ্রিল, ২০২২
২৪ জানুয়ারি, ২০২২
১০ মার্চ, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ