রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় কালিদহ মরাখাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অপরিকল্পিতভাবে পুনঃখননের ফলে দুইটি সেতু ভেঙে পড়েছে এবং শত শত বিঘা জমি খালে ধসে গেছে। সেতু ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। কৃষি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে শত শত কৃষক। হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের দিনবাজার হয়ে টেপ্রীগঞ্জ, বেলুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়া এবং ধুলাঝাড়িঘাট যাওয়ার এলাকায় খালের ওপর নির্মিত সেতু। ওই খাল ২০২১-২২ অর্থ বছরে অপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পুনঃখননের ফলে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি ও এলজিইডির একটি সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে, দুইটি সেতুই ধসে পড়েছে। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে দুইটি সেতু ভেঙে পড়ায় ইউনিয়নবাসী বর্তমানে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যে সেতু ভেঙে যাওয়া নিয়ে এলাকাবাসী নির্মাণ কাজ অনিয়ম করে শেষ করেছে বলে দাবি করেন তারা। স্থানীয় কৃষক আক্কাস আলী জানান, এভাবে খাল খনন করা ঠিক হয়নি। সেতু গুলো ভেঙে যাওয়ায় আমরা এখন চরম কষ্টে পড়েছি। খাল খননে বর্ষায় আমার ৫ বিঘা কৃষি জমি ধসে গেছে। খননের সময় ভেকু (স্কেভেটর) চালককে বার বার নিষেধ করেছি সেতুর ধারে খাল করতে, উল্টো আমাকেই আবার মামলা দেয়ায় ভয় দেখিয়েছে তারা।
স্থানীয় কৃষক মফিজ উদ্দিন, আ. বারেক, মুজিবুল হক ও মাহাতাবসহ আরো একাধিক ব্যক্তি জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদিত ফসল বিশেষ করে শাক সবজি পরিবহনের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এবং খাল পুনঃখননে শত শত বিঘা কৃষি জমি ধসে গেছে। টেপ্রীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কালিদহ ও গাউনি খাল অপরিকল্পতি ভাবে খনন করছেন। আর এ অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনননের ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন একটি ও এলজিইডির একটি সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন জানান, সেতুটির ধার থেকে মাটি খনন ও ভারী বৃষ্টির ফলে সেতুটি ভেঙে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কালিদহ খাল পুনঃখননে সেতুর কোন ক্ষতি হয়নি বলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শামছুজ্জামান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।