Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ফরিদপুরে খাল ও বাঁওড় খনন

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

ফরিদপুরের সালথায় একটি খাল ও একটি সরকারি বাঁওড় পুনঃখননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননের নামে যোগসাজসে পৃথক দুটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে খনন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া হাজিবাড়ি থেকে সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৮৬ ঘনমিটার খাল পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ১৬ হাজার ৪৪ ঘনমিটার কাগদী সরকারি বাঁওড়ের একাংশ পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদফতর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প দুটির খনন কাজ শুরু করেন প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দিন খান পান্নু। খনন প্রকল্পের কাজ দুটি ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি। গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চান্দাখোলা বারোপিট খাল খনন কাজ করা হচ্ছে মাত্র একটি বেকু মেশিন দিয়ে। কাজের সাইডে প্রকল্প সভাপতি বা তদারকি কর্মকর্তারা কেউ নেই। খাল খননে ৩ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও এক থেকে দেড় ফিট গভীর করে খনন কাজ করা হচ্ছে। আবার খালের অনেক স্থানে খননই করছে না। খালের দুই পাড়ে বসবাসরতরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জানা মতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে খাল খনন করার কথা। অথচ বেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ করায় বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিকরা। একাধিক সূত্র জানায়, প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু তার প্রভাবশালী এক আত্মীয়’র মাধ্যমে মৎস্য অধিদফতর থেকে লবিং করে বিভিন্ন খাল ও বাঁওড় খননের প্রকল্প এনে লুটপাট করে আসলেও দেখার কেউ নেই। এখনও মৎস্য অধিদফতরের কয়েকটি খাল ও বাঁওড় খননের কাজ করছে। সালথায়ও তার দুটি খনন প্রকল্পের কাজ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে লুটপাটের চেষ্টা করছে।
খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে অনিয়মের বিষয় বক্তব্য জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু বলেন, আপনারা আমার ভাই-ব্রাদার। এ নিয়ে লেখালেখি করবেন কেন। আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করলে বিল দেয়া হবে না। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে যতটুকু গভীর করে কাটবে ততটুকুর বিল দেয়া হবে। আর আগের প্রকল্পগুলোতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও বর্তমান প্রকল্পে বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে। ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, খাল ও বাঁওড় খননের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে অনিয়মের বিষয় তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাল ও বাঁওড় খনন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ