Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জননিরাপত্তা আইনে ওমর-মেহবুবা অভিযুক্ত

গণতন্ত্রের সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ : চিদম্বরম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এবার তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে জন সুরক্ষা আইন। উপত্যকার এই দুই নেতা-নেত্রীর উপর কেন্দ্র জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। শুক্রবার সকালে টুইট করে নিজের বিস্ময় ও দুঃখ পাওয়ার কথা জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। টুইটে চিদম্বরম লেখেন, ‘বিনা কারণে আটক রাখা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ। অন্যায্য আইন প্রয়োগ হলে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় আছে?’ ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি কাশ্মীরি নেতারা। এবার মোদি সরকার তাদের উপর জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করায় সেই বন্দিদশা আরও বাড়তে চলেছে। জন সুরক্ষা আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিকে আদালতে না নিয়ে গিয়েও এই আইনের বলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যাবে। অপরদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে আটক রয়েছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, তাদের আটকাদেশের পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন এক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। উল্লেখ্য, বিতর্কিত এই আইনের মাধ্যমে যে কাউকে তিন মাস পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক রাখা যায়। গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত ঘিরে অঞ্চলটিতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা নেওয়া হয়। আটক করা হয় শত শত রাজনৈতিক নেতাকে। এদের অনেককে পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি এখনও আটক রয়েছেন। জন নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত হওয়ার পরও আগের জায়গাতেই আটক থাকবেন তারা। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই আইনে অভিযুক্ত হন ওমর আবদুল্লাহর বাবা ফারুক আবদুল্লাহ। ৮৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে তখন আইনটির অধীনে জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ম‚ল ধারার রাজনীতিবিদদের মধ্যে ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধেই প্রথম জন নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়। তিনি তিন বার কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সাধারণত এই আইনটি ‘সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী বা পাথর নিক্ষেপকারীদের’ গ্রেফতারে ব্যবহার করা হয়। আইনটির আনুষ্ঠানিক নাম জম্মু কাশ্মীর জন নিরাপত্তা আইন। ফারুক আবদুল্লাহর বাবা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ কাঠ পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে এর প্রচলন করেন। আইনটিকে প্রায়ই ‘দানবীয়’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এর মাধ্যমে সরকার ‘জনশৃঙ্খলা নষ্টের’ অভিযোগে যে কাউকে গ্রেফতারের ক্ষমতা পায়। আইনের ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী আটকাদেশ দিতে পারে কেবলমাত্র বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের কেউই আটকের কারণ প্রকাশে বাধ্য নন। কারণ এটিকে ‘জনস্বার্থ বিরোধী’ বলে বিবেচনা করতে পারতেন তারা। এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযুক্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ