Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর অব্যাহত, অভিযুক্ত যুবলীগ

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:০৩ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে টানা দ্বিতীয় দিনের মত বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গাউছিয়া স্যানিটারি মার্কেটে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠে।
হামলায় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেলে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এসময় সেখানে ক্যাশবাক্সে থাকা টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন, যুবলীগ নেতা এসহাক ও নয়নের নেতৃতে এ হামলা হয় বলে জানায় হামলার শিকার নেতাকর্মীরা।
এর আগে সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি সাদেক মাস্টারকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন হামলাকারীরা। হামলা চালানো হয় তার বাড়িতেও।
সোমবার সকাল থেকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচীর খবরে পৌরসভা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় ভাংচুর করা হয় কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মজিবুর চেয়ারম্যানের বাড়িঘর। হামলা চালানো হয়েছে বিএনপি নেতা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র বাদশার বাড়িতে। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌরসভা যুবদলের সভাপতি মফিকুল খানের কাউন্সিলর কার্যালয়ে ও তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব কহিনুরের স্যানিটারি দোকানে হামলা চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মিয়ার জুতার দোকানসহ দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করে হামলাকারীরা।
গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর হোসেন বলেন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন, যুবলীগ নেতা এসহাক ও নয়নের নেতৃতে এ হামলা হয়। তারা কোন কারণ ছাড়াই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেলে ভাংচুর করেছে। এসময় লুটপাট করে তারা।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন জানান, কেন তারা এমন হামলা করছে তা আমরা বুঝতে পারছিনা। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিজেদের জানান দিতে এবং ভীতির সৃষ্টি করতেই হয়ত এ হামলা চালানো হচ্ছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, হামলা করে তারা আমাদের ভয় দেখিয়ে অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ থেকে দূরে রাখতে চায়। এই আশা আর সফল হবেনা। আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও তাদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিটির হিসাব নেয়া হবে।
কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি বলেন, তারা নাশকতার সুযোগ না পেয়ে এখন নিজেদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ কেউ করেনি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ কোন হামলার অভিযোগ দিলে সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ