প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দ্বিতীয়বারের মতো মাদার তেরেসা রত্ন আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। এ উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন। কাওরান বাজারের ওয়াসা ভবনস্থ এটিএন বাংলার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ড. সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন। উল্লেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি কলকাতার ইজেডসিসি মিলনায়তনে ড. মাহফুজুর রহমান এর হাতে মাদার তেরেসা রত্ন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। এটি ছিল সংগঠনটির ২০তম উদ্যোগ। সারাবিশ্বে বাংলা ভাষায় প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করে গণমাধ্যমে সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য ড. মাহফুজুর রহমানকে এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের অতিথি কথাসাহিত্যিক ড. সেলিনা হোসেন বলেন, একজন বাংলাদেশী হিসেবে ড. মাহফুজুর রহমানের এই পুরষ্কার প্রাপ্তি আমাদের সবার জন্য গর্বের। মাদার তেরেসার ন্যায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে প্রত্যেকেই যেন সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করেন। মাদার তেরেসা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আসেন এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধ বিদ্ধস্ত পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বঙ্গবন্ধুর নিকট আবেদন করলে বঙ্গবন্ধু এই পথশিশুদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করেন। আজকের তরুণরা আগামীতে দেশের কর্ণধার। তাই তাদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্র বিণির্মানে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তিত হলেও ইতিহাস কখনো পরিবর্তন হয়না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কখোনই পরিবর্তিত হবে না। এই মুক্তিযুদ্ধের জন্য তিনি ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, মাদার তেরেসার পথ অনুসরণ করে আমরা যত বেশী আত্মনিবেদিত হবো, তত বেশি এই দেশ এগিয়ে যাবে। আর্তমানবতার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় চির স্মরনীয় হয়ে থাকবেন মাদার তেরেসা। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, মাদার তেরেসার মত আমরা সবাই যদি জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কাজ করতে পারি তাহলে সমাজে আমরা তার পথ অনুসরন করতে পারবো। কিন্তু বর্তমান বস্তবতায় বিত্তশালী মানুষের সংখ্যা বাড়লেও সে হারে সমাজ হিতৈষী বা মানবতার জন্য কাজ করে এরকম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে না। বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সরকারি হিসেবে ২০%-২২% বলা হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি ৫ জনে ১ জন দরিদ্র। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়নের কথা যেভাবে বলা হচ্ছে অর্থাৎ পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, নতুন নতুন ফ্লাইওভার তৈরি ইত্যাদি যেভাবে হচ্ছে সেভাবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যদি মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হচ্ছে কিনা সেটা আমাদের ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে, উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরী। আজকে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি নানা কায়দায় দেশের টাকা লুট করে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই ক্যাসিনোর মাধ্যমে অর্থ লুটকারী সহ সকল দেশের সম্পদ লুটেরাদের আইনের আওতায় আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করার জন্য। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. মাহফুজুর রহমানকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অতিথিরা। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিভি উপস্থাপক খন্দকার ইসমাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।