পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে পাঁচ মাস ১৩দিনের ব্যবধানে দুইটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। একটির মৃত্যু হয় গত বছরের ২০ আগষ্ট সুন্দরবনে ছাপড়াখালী ও অপরটি গত সোমবার দুপুরে কোকিলমনির কবরখালী খালের পাড়ে। বন বিভাগরে ধারণা বার্ধক্যজনিত কারনে বাঘ দুইটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
২০১৮ সালে বন বিভাগের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা পাওয়া গেছে ১১৪টি। ক্যামেরা ট্রাপের মাধ্যমে ওয়াইল্ড লাইফ ও ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা এ জরিপ চালায়। এর আগে ২০১৫ সালে ভারত ও বাংলাদেশের বন বিভাগ যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে ১০৬টি বাঘের সন্ধান পায়। এছাড়া ২০০৪ সালে বন বিভাগরে জরিপে ৪৪০টি বাঘের হিসাব পাওয়া যায়। তবে বনজীবীদের মতে সুন্দরবনে হরিণ, বানর ও শুকরসহ বন্যপ্রাণীর সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনাঞ্চলের ওয়াইল্ড লাইফের ডিএফও মো. মদিনুল আহসান জানান, বাঘ সাধারণত ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে মারা যায়। ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট মারা যাওয়া বাঘটির ফরেনসিক রিপোর্টে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে আগের তুলনায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে সোমবার কোকিলমনির কবরখালি খালের পাড়ে পাওয়া মৃত বাঘটির ময়না তদন্ত গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সম্পন্ন হয়েছে। বাঘটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে বন বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নেয়। ময়নাতদন্ত করেন শরণখোলা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জি.এম. আব্দুল কুদ্দুস। এসময় উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন, সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন, ওয়াইল্ড টিমের মাঠ কর্মকর্তা মো. আলম হাওলাদার, কমিউনিটি প্যাট্রোলিং গ্রুপের সদস্য ইউসুফ আলী ও বাবুল হাওলাদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জি.এম. আব্দুল কুদ্দুস জানান, মনে হচ্ছে মৃত বাঘটির পিছনের অর্ধেক কুমিরে খেয়ে ফেলেছে। মাদী এ বাঘটির তিনটি দাত ভাঙা, উচ্চতা তিন ফুট, ব্যসার্ধ তিন ফুট তিন ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন ফুট দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে তিন চার দিন আগে মারা গেছে। আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাঘটির হৃৎপিন্ড, ফুসফুস ও প্লীহা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে পচে যাওয়ার কারণে লিভার ও পাকস্থলী সংগ্রহ করা যায়নি।
শরণখোলা রেঞ্জে কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, বাঘের সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বন বিভাগের ওয়ইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, এব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।