Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে ফের বস্তিতে আগুন খোলা আকাশের নিচে ৫০০ পরিবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়িতে রেলের জমিতে গড়ে ওঠা বস্তিতে অগ্নিকান্ডে চার শতাধিক বসতঘর পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও শতাধিক ঘর। সহায়-সম্বল হারিয়ে পাঁচ শতাধিক পরিবারের কয়েক হাজার সদস্য এখন খোলা আকাশের নিচে। গতকাল সোমবার সকালে ‘বেগম রাইচ মিল কলোনি’ নামে পরিচিত এ বস্তিতে আগুন লাগে।
তবে তাৎক্ষণিক আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি কেউ। ভোর ৫টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট থেকে ১৫টি গাড়ি সেখানে ছুটে যায়। তবে সরু গলি এবং পানি সঙ্কটের কারণে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বেগ পেতে হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পাশাপাশি লাগোয়া চারটি বস্তির চার শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরও শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ভোরে বেশিরভাগ বাসিন্দা ঘুমে ছিলেন। আগুনের লেলিহান শিখা আর প্রচন্ড ধোঁয়ায় তাদের ঘুম ভাঙ্গে। তারা সন্তানদের নিয়ে কোনমতে জীবন রক্ষা করেন। ঘরের কোনকিছুই সরাতে পারেননি। এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হওয়া বাসিন্দাদের এখন আর কোনকিছুই অবশিষ্ট নেই। স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ে এসআরবি এলাকায় অবৈধভাবে এ বস্তিটি গড়ে ওঠে। ছোট ছোট এসব কাঁচা ও টিনের ঘরে নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করত। এখানকার পুরুষদের বেশিরভাগই দিনমজুর, ঠেলা ও রিকশাচালক। নারীরা বাসাবাড়িতে কিংবা ফেরিওয়ালার কাজ করে।
ভয়াবহ আগুনে ঘরের সাথে সহায় সম্বল, নগদ টাকা, বই-পুস্তকও পুড়ে গেছে। সব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে। তাদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ছাইভস্মের ভেতর থেকে বাসন-কোসনসহ পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে ১১ দিনের মাথায় দুটি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো। এর আগে নগরীর পাঁচলাইশ শুলকবহর ডেকোরেশন গলির একটি বস্তিতে সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফা আগুনে কয়েকশ ঘর পুড়ে যায়। আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ