পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে তুরস্ক। সিরীয় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে সরকারি বাহিনীর অভিযান জোরালো করায় নতুন করে শরণার্থী সংকটের আশঙ্কায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে আঙ্কারা। জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সহায়তায় সিরীয় সেনাবাহিনী ইদলিক অভিমুখে অগ্রসর হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ওই অঞ্চল ছেড়ে পালাচ্ছে। গত বুধবার সংস্থাটি বলেছে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে তিন লাখ ৯০ হাজার মানুষ ইদলিব ছেড়ে পালিয়েছে। এর বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বর্তমানে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে ৩৫ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী। নতুন করে শরণার্থী ঢলের আশঙ্কায় রয়েছে আঙ্কারা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিরীয় সীমান্তবর্তী হাতায় প্রদেশের রায়হানলি জেলায় অতিরিক্ত সেনা ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। তুর্কি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক সদস্য বলেছেন, ‘ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে এবং ওই অঞ্চল স্থিতিশীল রাখতে সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে যা করা প্রয়োজন তার সবই করবে তুরস্ক’। তিনি বলেন, ‘সিরীয় সরকারের অভিযান বিপর্যয় ডেকে আনলে আঙ্কারা হস্তক্ষেপ হস্তক্ষেপ করতে দ্বিধা করবে না’। অপরদিকে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চলের উত্তর পশ্চিমে সরকারি বাহিনীর গোলাবর্ষণে তুরস্কের চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় আরও নয় সেনা আহত হয়েছে, এদের এক জনের অবস্থা মারাত্মক। তুরস্কের দাবি, এই হামলার জবাবে ওই অঞ্চলের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। সিরীয় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে স¤প্রতি অভিযান জোরালো করেছে সরকারি বাহিনী। রুশ যুদ্ধবিমানের সহায়তায় চালানো এই অভিযানের কারণে অঞ্চলটি ছেড়ে হাজার হাজার শরণার্থী পালাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। নতুন করে শরণার্থী সংকটের আশঙ্কায় রবিবার সিরীয় সীমান্তে ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সেনা করে তুরস্ক। এর একদিন পরেই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সিরীয় বাহিনী। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তে সেনা অবস্থানের কথা অবহিত করার পরেও হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আনাদোলু, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।