পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবায়েদুর রহমান : গত ১৫ অক্টোবর শনিবার গণচীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২২ ঘণ্টার সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ৩০ বছর পর কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসলেন। এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট লি জিয়ান লিয়ান ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এই ৩০ বছরে হোয়াং হো নদী আর বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। চীনা প্রেসিডেন্টের এই ঝটিকা সফরের পটভূমি হলো দুইটি ইকোনোমিক করিডোর। একটি হলো পাক-চীন অর্থনৈতিক করিডোর। চীন নিজ দেশ থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত একটি বিশাল সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে। এই সড়কটির দৈর্ঘ্য হল ১৫১৭ মাইল। এটি চীনের জিন জিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু করে আজাদ কাশ্মীর হয়ে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অনুরূপভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন আরেকটি অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এটির নাম হবে বিসিআইএম। বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের জন্য চিহ্নিত ২৮০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ১৭৫০ মাইল সড়ক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল-ঢাকা-সিলেট হয়ে আবার শিলচর দিয়ে ভারতের আসামে প্রবেশ করবে। এরপর মনিপুরের ইমফল হয়ে ভারত-নির্মিত তামু-কালিওয়া মৈত্রী সড়ক দিয়ে মিয়ানমার যাবে। মিয়ানমারের মান্দালয় হয়ে সড়কটি চীনের কুনমিংয়ে গিয়ে শেষ হবে। চীন ও মিয়ানমার হয়ে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিসিআইএম করিডোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এসব রাস্তা সংযুক্ত ভাবে অভিহিত হবে সিল্ক রুট নামে। এগুলো ছাড়াও এই রাস্তা যখন ইরান হয়ে আফ্রিকা পর্যন্ত যাবে তখন সেখানে সংযুক্ত থাকবে ৬০টি দেশ। রাশিয়ার একটি বার্তা সংস্থার খবর মোতাবেক, চায়নার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সড়ক নির্মাণ খাতে ২০০ বিলিয়ন ডলার এবং বিভিন্ন প্রকল্প খাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশী টাকায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার সমান। (এখানে ১ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ধরা হয়েছে ৮০ টাকা)।
বাংলাদেশে ভারতীয় সাহায্য
ভারত বিগত ৪৬ বছরে যে সাহায্য বাংলাদেশকে দিয়েছে সেটি ৩ বিলিয়নের বেশি হবে না।
সেই ৩ বিলিয়নেরও পুরো অংক বাংলাদেশ এখনো পায়নি। অথচ ভারতের এমন কোনো চাহিদা নাই যা বাংলাদেশ পূরণ করেনি। বিনিময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে বলতে গেলে কিছুই পায়নি। তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধানের কোনো আলামত নাই। পক্ষান্তরে বাংলাদেশকে কিছু দেওয়া ছাড়া বাংলাদেশের নিকট থেকে চীনের চাওয়ার মত কিছু নাই। এক্ষেত্রে চীনের নিকট হতে অনেক কিছু পেতে হলে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে হবে। এখন সম্পর্ক ভালো। কিন্তু ভারতের সাথে যত ভালো তার সিকি ভাগও চীনের সাথে নয়।
অর্থনৈতিক সাহায্যের তাৎপর্য
এই বিশাল অর্থনৈতিক সাহায্যের রাজনৈতিক তাৎপর্য কি, সে সম্পর্কে কোন পরিষ্কার কথা কোন পক্ষই বলছেন না। তবে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ৪০ মিনিট বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, চীন বিশ্ব রাজনীতিতে তার ভূমিকার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন চায়। ডেইলি স্টার শি জিনপিংয়ের একটি উক্তি প্রথম পৃষ্ঠায় ইনসেট হিসেবে বক্স আকারে ছেপেছে। উক্তিটি হলো “We agreed to elevate China-Bangladesh relationship from a closer comprehensive partnership of cooperation to a strategic partnership of cooperation” এর অর্থ হলো, “চীন বাংলাদেশ সম্পর্ককে আমরা সহযোগিতার সামগ্রিক ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব থেকে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে নিয়ে যেতে চাই।” এই উক্তিটির তাৎপর্য যারা প্রণিধান করতে পেরেছেন তাদের কাছে এটি গভীর ইঙ্গিতময় বলে মনে হয়েছে। তবে দিন যতই যাবে ততই আস্তে আস্তে এটি খোলাসা হবে যে এই উক্তির পেছনে আরও কোন কথা প্রচ্ছন্ন রয়েছে কিনা। সেটি বুঝতেও আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।
এক নম্বর অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার প্রচেষ্টা
চীন এখন পৃথিবীর বৃহত্তম রপ্তানীকারক দেশ। অর্থাৎ আমেরিকার রপ্তানী আয়ের চেয়ে চীনের রপ্তানী আয় বেশি। আজ যদি চীন এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপে স্থল ও জল পথে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে সেই ৪০০০ মাইল পথ দিয়ে চীনা পণ্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশে অনুপ্রবেশ করবে এবং পৃথিবীর শতাধিক দেশ চীনা পণ্যে সয়লাব হয়ে যাবে। গণচীন চায় তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিটে অব্যাহত থাকুক। যদি সেটি অব্যাহত রাখা যায় তাহলে আগামী এক দশকের মধ্যে চীন পৃথিবীর অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হবে। সেক্ষেত্রে চীনা অর্থনৈতিক আকার মার্কিন অর্থনৈতিক আকারকেও ছাড়িয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক অতীতের সর্বোচ্চ সাহায্য
চীনের অর্থ সাহায্যের পরিমাণ বিশাল, ব্যাপক এবং অচিন্তনীয়। চীনের প্রেসিডেন্ট এক দিনে যে পরিমাণ সাহায্য কমিট করেছেন, গত ৪৬ বছরে এত সাহায্য এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি আর কোথা থেকে পাওয়া যায়নি। আমেরিকার মত সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তিও এমন বিশাল আকারের সাহায্য তো দূরের কথা, তার অর্ধেকও এ পর্যন্ত দেয়নি। আবার কেউ কেউ বলছেন যে, যখন টোটাল এইড প্যাকেজ উন্মোচিত হবে তখন দেখা যাবে যে গত ১৪ অক্টোবর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন তা বিশ্বের একমাত্র সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি আমেরিকার সাহায্য বা সহযোগিতার চেয়ে ৬ গুণ বেশি।
ভারতের উদ্বেগ
বাংলাদেশের সাথে চীনের সাম্প্রতিক মাখামাখিতে ভারত খুব উদ্বিগ্ন। ভারতের একটি মিডিয়া এ ব্যাপারে শিরোনাম দিয়েছে, ‘China-Bangladesh bonhomie: India needs to restrategise as the Dragon woos this neighbour’. বাংলা অনুবাদ, ‘চীন-বাংলা সখ্যতা ঃ ড্রাগন তার প্রতিবেশীকে তোষণ করছে : ভারতকে তার কৌশল পুনঃনির্ধারণ করতে হবে’। ভারতের একটি বিখ্যাত টিভি চ্যানেলের অনলাইন সংবাদে বলা হয়েছে, “চীন ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সখ্যতা ভারত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভারতীয় মিডিয়া ঈর্ষাকাতর হয়ে যে সব মন্তব্য করছে সে সব পড়ে এবং শুনে চীনা মিডিয়াও তাদেরকে বলছে, বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা দেখে তোমরা ঈর্ষা করো না। চীনা মিডিয়া বলছে যে, বাংলাদেশের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ভারতের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।” ভারতের সিনিয়র কূটনীতিক পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলাদেশকে অব্যাহত ভাবে তোষণ করার পেছনে চীনের রয়েছে কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক কারণ। চীনের এই অব্যাহত প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে ভারত এবং তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা। তাদের মতে, চীনের এই তোষামদির পেছনে রয়েছে তার অর্থনৈতিক ও সামরিক পেশী শক্তির প্রসারণ।
এম কে ভদ্রকুমারের মন্তব্য
মিঃ এম কে ভদ্রকুমার ভারতের একজন সাবেক শীর্ষ কূটনীতিক এবং বিখ্যাত কলামিস্ট। তিনি ভারতের হয়ে অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং দীর্ঘকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। মিঃ ভদ্রকুমার মনে করেন যে, চীন-পাকিস্তান মৈত্রীকে মোকাবেলা করার জন্য ভারত ব্রিক্স, বিমস্টেক প্রভৃতি যে আঞ্চলিক গ্রুপিং করছে সেটি কার্যকর হবে না। The so-called ‘Bay of Bengal regionalism’ can never mean that Sri Lanka or Bangladesh or Myanmar or Thailand would be willing to forgo their cooperation with China for the sake of bonhomie with India., China happens to be much more meaningful and tangible as partner country from their point of view. The geopolitical reality is that in the field of economy and defense, China is firmly ensconced as Bangladesh’s irreplaceable partner. অনুবাদঃ “তথাকথিত বঙ্গোপসাগরীয় আঞ্চলিকতা বলতে কখনো এটা বোঝাবে না যে, শুধুমাত্র ভারতের বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা থাইল্যান্ড চীনের সাথে বন্ধুত্ব ভুলে যাবে। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে চীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ অংশীদার। ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা হলো এই যে, অর্থনীতি এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে চীন এমন দৃঢ়ভাবে প্রোথিত যে তার জায়গায় আর অন্য কাউকে বসানো যাবে না।” ভদ্রকুমারের এই মন্তব্যের পর ভারতের উদ্বেগ বুঝতে কষ্ট হয়না।
ভারতের ২ বিলিয়ন বনাম চীনের ২৪ বিলিয়ন
ভারতের একটি বিখ্যাত টিভি চ্যানেল খবর দিয়েছে, “China Counters India’s $2 Billion With $24 Billion For Bangladesh” অর্থাৎ, ভারতের ২ বিলিয়ন ডলারের জবাবে চীনের ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের এই দুই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বেশি দিন আগের নয়। এই তো কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার চুক্তি সই করেছিলেন। সেই চুক্তি তো সই হয়েছে, কিন্তু সেই চুক্তির টাকা কতদূর পাওয়া গেছে সেটাই এখন দেখবার বিষয়। কারণ এর পূর্বেও ভারত বাংলাদেশের সাথে এক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছিল যা দেবার কথা বলে এখন পর্যন্ত ভারত দেয়নি। ২০১০ সালের ৭ আগস্ট ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। পরবর্তীতে ইআরডি সূত্রে জানা যায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬ কোটি ডলার ছাড় করেছে ভারত। আর বাকি অর্থ যে ভারত কবে দেবে তা একমাত্র আল্লাহ্ মালুম। এর ওপর আবার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সাথে ২ বিলিয়ন ডলার চুক্তি সম্পাদন করেছে। তাও আবার বিভিন্ন শর্তে। ভারতের ঋণের টাকায় যে সকল কাজের বাস্তবায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে তাতে অন্তত ৭৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা অবশ্যই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে।
বেগম জিয়ার সাথে বৈঠক
এই সফরটি মাত্র ২২ ঘণ্টার হলেও এই সফরের তাৎপর্য সুদূর প্রসারী। চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি এই সফরকালে ৫টি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো বিকাল ৫টার দিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক। উল্লেখযোগ্য যে প্রটোকলের দিক দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে কিছুই নন। জাতীয় সংসদেও তাদের কোনো প্রতিনিধি নাই। তবুও বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তির প্রধান একজন মাত্র রাজনৈতিক নেতার সাথেই দেখা করেছেন। তিনি হলেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। আর একজন হলেন শেখ হাসিনা। তিনি তো প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং তার কথা আলাদা। বেগম জিয়ার সাথে বৈঠকের মাধ্যমে গণচীনের প্রেসিডেন্ট তথা গণচীন বেগম খালেদা জিয়া তথা বিএনপিকে দেশের দুইটি বৃহত্তম দলের অন্যতম এবং দেশের দুই জন শীর্ষ নেত্রীর অন্যতম হিসাবে স্বীকৃতি দিলেন। অবশ্য এই স্বীকৃতির একটি ঐতিহাসিক পটভূমিও রয়েছে। সেটি হলো, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ১৯৭৫ সালের ২৯শে আগস্ট পর্যন্ত গণচীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি ঠেকিয়ে রেখেছিল। ১৯৭৪ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত ভেটো প্রয়োগের মাধ্যমে চীন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ ঠেকিয়ে রেখেছিল। ১৯৭৬ সালে মরহুম জিয়াউর রহমান যখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ঐ বছরের অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এছাড়াও চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শি জিনপিং যখন ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফর করেন তখনও তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বেগম জিয়াকে স্বীকৃতি দেয়ার পেছনে ওপরে উল্লেখিত সবগুলি ফ্যাক্টর কাজ করে থাকতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।