গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সুমন সিকদার নামে এক পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় ঢাকা উত্তর সিটির মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারের রহিম বেপারী ঘাটে নির্বাচন পরবর্তী একদল মুখোশধারীর হামলায় তিনি নিহত হন। নিহত সুমন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হাসান-নূর ইসলাম রাষ্টনের পোলিং এজেন্ট ছিলেন ।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই হারুনুর রশিদ জানান, সুমন সিকদারের বাবার নাম আনোয়ার আহমেদ সিকদার। তার বাসা ৪/২ ব্লক এফ লালমাটিয়ায়। লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট ছিলেন তিনি। তার লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হন ৫জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত সুমনের বন্ধু মো. সাজ্জাদ বলেন, আমি সুমন, রুবেল, আলামিন, ইমরান মেসি ও ইমরানসহ ৬ জন রহিম ব্যাপারী ঘাটে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎ অর্ধশত মাস্ক পড়া যুবক এসে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবনের লোক কে কে আছে, বলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে সুমন আহত হলে আমরা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নিয়ে যাই। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার বন্ধুকে কেন হত্যা করা হয়েছে আমরা জানি না। তিনি আরো বলেন, এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় সুমন। বাবা আনোয়ার আহমেদ শিকদার গাড়ি চালক। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগাতীতে। আজ রোববার থেকে সুমনের সীমান্ত স্কয়ারে একটি ফাস্টফুডের দোকানে কাজ করার কথা ছিল।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. প্রবাহ বিশ্বাস নিয়ে আসার আগে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এবং বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি তার বুকের ডান পাশে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তার পেটে, পায়ে ও পিঠসহ শরীরে বেশ জায়গায় স্ট্যাপ ইনজুরি আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।