মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে জনতার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অনড় দিল্লির শাহীনবাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল ট্যুইট করে এই কথা জানান বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। প্রায় ৫০ দিন ধরে চলছে দিল্লির শাহীনবাগের এই আন্দোলন। বিজেপি এতদিন তাদেরকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ হিসেবে সমালোচনা করলেও দিনের পর দিন শাহীনবাগের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণ দেখে সুর নরম করতে বাধ্য হল। গতকাল সকালে ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ‘সরকার শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে এই আলোচনা গঠনমূলক পদ্ধতিতে হতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে সিএএ সম্পর্কে তাদের মনের যাবতীয় ভয় ও সংশয় দূর করতে চায়।’ দিল্লির ওখলা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শাহীনবাগ বর্তমানে সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতার মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার আম আদমি পার্টি অভিযোগ করে যে, আগামীকাল রোববার শাহীনবাগে বড় গোলমাল বাধানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপি। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির নির্বাচনের জন্য মিডিয়া ইনচার্জ অশোক গয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক সুরে কথা বলছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লির শাহীনবাগে চলছে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ। কয়েকশ’ মহিলা দিল্লির প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে অবস্থান করছেন সেখানে। অনেকের সঙ্গে আছে তাদের বাচ্চারা। এর আগে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা তাঁদের ‘মিনি পাকিস্তান’, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলেছেন। কিন্তু দিল্লি ভোটের যখন মাত্র এক সপ্তাহ বাকি, তখন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ দেখাল মোদি সরকার।
এর আগে রবিশংকর প্রসাদ বলেছিলেন, দিল্লির শাহীনবাগে যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তারা ‘শান্তিপ্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠের’ মতামত চাপা দিতে চান। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আইনমন্ত্রীর অভিযোগ, তারা ওই গ্যাং-এর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার কথায়, কীভাবে মাত্র কয়েকশ জন মিলে শান্তিপ্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত চাপা দিতে পারে, শাহীনবাগ তার আদর্শ দৃষ্টান্ত।
দিল্লিতে ভোটের প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি যখন ভোট দেবেন তখন এমন জোরে (ভোটযন্ত্রের) বোতাম টিপুন যাতে বাবরপুরে বোতাম টিপলে তার ধাক্কা গিয়ে লাগে শাহীনবাগে।’ দিল্লির বাবরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থীকে আপনি ভোট দিলে তা দিল্লি তো বটেই পুরো দেশকে সুরক্ষিত করবে এবং শাহীনবাগের মতো শত শত ঘটনা প্রতিহত করবে।’ সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।