গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সিটি নির্বাচনে ভোটের সর্বশেষ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলকে (Bernt Cristensen) অবহিত করেছেন ইশরাক হোসেন।
শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এই প্রতিনিধির সাথে বৈঠকের পর ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একজন প্রতিনিধির সাথে আমরা বৈঠক করেছি। এটা পূর্বনির্ধারিত বৈঠক। উনি সকল প্রার্থীর সাথে বৈঠকে বসেছেন।আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথেও বসেছেন।”
‘‘নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মতামত জানতে চাওয়ার জন্য তিনি বসেছেন। উনি আমার থেকে জানতে চেয়েছেন যে, সার্বিক পরিস্থিতি কেমন ছিলো, আগামীকাল কি কি শঙ্কা আমাদের রয়েছে। আমি ইভিএমের বিষয়টা বলেছি এবং ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন জেলার কমিটি করে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হচ্ছে ঢাকায়, কেন্দ্র দখলের একটা পায়তারা করা হচ্ছে- এই বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি।”
বৈঠকে কয়েকদিন আগে গোপীবাগের নির্বাচনী প্রচারনার মিছিলের ওপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইশরাক জানান, ভোটের দিন দক্ষিন ও উত্তরে বিভিন্ন কেন্দ্রে তাদের পর্যবেক্ষক টিম যাবেন।
রুদ্ধ্রদ্বার বৈঠকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
গুলশানে বে ভবনে একটি বিদেশী রেষ্টুরেন্টে এই বৈঠক হয় বেলা ১২টায়। ইশরাকের আগে সকালে ঢাকা দক্ষিনের নৌকার মেয়র প্রার্থী ফজলে নুর তাপসের সাথেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এই প্রতিনিধি একই স্থানে বৈঠক হয়।
ভোটের দিনটা কেমন যাবে প্রশ্ন করা হলে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ কালকের দিনটা কেমন যাবে সেটা কেবল মহান আল্লাহ‘তালা বলতে পারবেন। আমরা খালি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, কি কি ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সরকারি দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে চালানো হতে পারে। আমি দেখেছি যে, বেশিরভাগ জরিপ গুলোতে ধানের শীষ ৮০ পারসেন্টে এগিয়ে আছে।এগু্লো দেখে হয়ত তারা(সরকারি দল) জোর-জবর দস্তি করে কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করবে। আমাদের যে একটা গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার ওরা রুখতে চাচ্ছে।”
‘‘ আমি বলতে চাই, এবার কিন্তু দখলদারিত্ব মেনে নেয়া হবে না, ভোটাররা মেনে নেবে না। আমরা কেন্দ্র পাহারা দেবো, দখলমুক্ত করে ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করব।”
বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে প্রিন্স এবং চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।