পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের এখনো বাকী অনেক সময়। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তবে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কার হবার পর থেকেই চলছে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা। পুরো গাজীপুরের আনাচে কানাচে প্রার্থীদের পোস্টার ফেস্টুন। বাস, ট্রাক, লেগুনাতেও প্রার্থীদের পোস্টার সাঁটানো। গাজীপুরের চিত্র দেখলে মনে হবে শিঘ্রই হয়তো অনুষ্ঠিত হবে সিটি নির্বাচন।
গাজীপুরের রাজনৈতিক সূত্র বলছে, মেয়র জাহাঙ্গীর বহিষ্কারের পর মেয়রের পদটি শূণ্য। এ স্থানে আগামীতে কে আসবে এ নিয়ে চলছে নগরজুড়ে আলোচনা। গতবার মহানগরের প্রবীন নেতা আজমত উল্লা খান মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতাদের বেশিরভাগই মনে করছেন আগামীতেও হয়তো নতুন কোন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতারা অগ্রাধিকার পাবেন। তাই নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে বেশ আগে থাকতেই প্রচারণায় নেমেছেন মেয়র প্রার্থীরা।
গত ২০১৮ সালের ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলম। এরপর ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীরকে। পরে ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় তাকে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন মাসের পরে গাজীপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু মেয়র পদ খালি থাকায় অগ্রিম এই পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পুরো গাজীপুর জুড়ে চলছে নেতাদের প্রচারণা।
ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন গাজীপুর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম। এমন কোন স্থান নেই যেখানে তার পোস্টার, ফেস্টুন নেই। এছাড়া প্রচারণায় নেেেমছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, প্যানেল মেয়র আব্দুল আলীম মোল্লা, কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল হাসান সরকার রিপন। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমতউল্লাহ খান প্রচারণা না চালালেও তাকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে সবাই। মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালালেও বেশিরভাগ প্রার্থী এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ। তারা বলছেন, এখনো অনেক সময় বাকী নির্বাচনের। তাদের কর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তরুণদের কাছে জনপ্রিয় মুখ হিসেবে এগিয়ে রয়েছে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম। সাইফুল গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টঙ্গী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। টঙ্গী কলেজ ছাত্র সংসদেরও নেতা ছিলেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
সাইফুল মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ২০ জন দরিদ্রকে ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। যা যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস্ পরশ উদ্বোধন করেছেন। এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত একশো’টির বেশি পরিবারকে ঘর তৈরী করে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আমার হাতেখড়ি। সব সময় চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। জনপ্রতিনিধি হতে পারলে সাধারণ মানুষের সেবা করার পরিধি অনেক বেড়ে যায়। তিনি বলেন, নির্বাচনের এখনো অনেক সময় বাকি। কিন্তু আমাদের রাজনীতির সংস্কৃতি হল বিভিন্ন দিবস বা ইস্যুতে যে যার প্রচারণা চালায়, পোস্টার ফেস্টুন করে। এটা দৈনন্দিন রাজনীতির একটি অংশ। ঘর তৈরী করে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমার মেয়র প্রার্থী হওয়া বা নির্বাচনের কোন অংশ না। এটি সদকায়ে জারিয়া হিসেবে করি। প্রথম থেকেই আমি খুজে খুজে ও আমার কর্মীদেরকে দিয়ে খুঁজে অসহায় ও দরিদ্র লোকজন বের করে ঘর তৈরী করে দেওয়ার কর্মকান্ড শুরু করি। এই প্রকল্পে প্রথম ঘরটি দিয়েছিলাম দুটি এতিম শিশুকে, এভাবে এক এক করে ঘর করে দিয়েছি অসংখ্য অসহায়, বিধবা, এতিম, মুক্তিযোদ্ধা ও আগুনে পুড়ে যাওয়া গৃহহীনদের মাঝে।
এদিকে এবারও হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমতউল্লাহ খান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তবে সেবার তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। পরের বার তার স্থান দখল করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। এবারও আজমত উল্লাহ খান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দিবস ভিত্তিক কিছু প্রচারণা দেখা গেছে তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।