পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সরে যেতে বলেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতি এই আহ্বান জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন(জিসাস) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. মোশাররফ বলেন, আমি দেখছি যে, ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমাদের সমর্থিত নয় কিন্তু দলের অনেক নেতা সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন। আমরা দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে আহবান জানাচ্ছি, অনুরোধ জানাচ্ছি যে, তারা যেন দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন, ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। কারণ এই ভোট ধানের শীষের ভোট, ধানের শীষের ভোট হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মার্কা, বেগম খালেদা জিয়ার মার্কা। বেগম জিয়া অন্যায়ভাবে কারাগারে। আজকে আপনাদের এই মূল্যবান ভোটে দেশনেত্রীর মুক্তি হতে পারে, এদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, জনগন পরিবর্তন চায়। এই ভোটটি অত্যন্ত মূল্যবান।
ঢাকা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণে ইশরাক হোসেন ও উত্তরে তাবিথ আউয়ালসহ কাউন্সিলরা বিজয়ী হবে বলে আশাবাদী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রার্থীরা যখন যেখানে জনসংযোগ করতে যাচ্ছে, আপনারা দেখছেন সেই জনসংযোগ জনস্রোত বিশাল মিছিলে পরিণত হয়েছে। আমরা দেখছি জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ধানের শীষের পক্ষে। কারণ মানুষ এই সরকারের প্রতি বিরক্ত, এই সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ। এজন্য ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি আমার দুই মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল ইতিমধ্যে জনগণের মন জয় করে নিয়েছে, আমাদের দলের সমর্থিত কাউন্সিলরা জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। এখন ভোটের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ। আমরা বিশ্বাস করি যদি জনগণ ভোট দিতে পারে আমাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোট জয়যুক্ত হবে।
ইভিএম মেশিনের ক্রটি তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, মেশিনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির জন্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে ভোট দেয়ার যে আগ্রহ সেটা মানুষ হারিয়ে ফেলছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন এই মেশিনে হয়েছে সেখানে ২২ দশমিক ৯০ ভাগ মানুষ ভোট পড়েছে বলে দেখিয়েছি। ওই আসনেই একাদশ নির্বাচনের যে ভোট ডাকাতি হয়েছিল সেখানে ৯০ ভাগ ভোট কাস্টিং দেখিয়েছিলো।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে বলেছি, সরকারকে বলেছি, এই দেশের মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে চায়। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাই ইভিএমের মাধ্যমে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে জনগণের মতামত যাছাই করুন।
সংগঠনের সভাপতি আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জিসাসের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রিনা খান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।