মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে চীনে। বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে খাবার ও চিকিৎসা সেবা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কাজটি ত্বরান্বিত করতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটির চিয়াংশি প্রদেশ কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে প্রদেশটির নানছাং শহরে অবস্থিত চিয়াংশি ইউনির্ভাসিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনোমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে। এর ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে আটকা পড়েছেন। যারা কাজ করে বাড়তি আয় করেন, তারাও বেকার হয়ে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্তৃপক্ষ এ সমস্যা দূর করতে বিনামূল্যে খাবার ও প্রয়োজনীর দ্রব্যাদি বিতরণ করছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিয়াংশি ইউনির্ভাসিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনোমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ডরমেটরির লবিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের খাবার সামগ্রী বিতরণ করে। এ সময় তাদের নুডলস, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, রসুন এবং লেবু সরবরাহ করা হয়।
এ ছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রয়েছে পরীক্ষা ব্যবস্থা। যারা ডরমেটরির বাইরে যাচ্ছে, তাদের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিপুন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা এখানে চারজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসে অবস্থান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাইরাস এড়াতে কাজ করেছে। সেফটি মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় খাবার বিশ্ববিদ্যালয় সরবরাহ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল অফিস আমাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে।’
ছাত্রবাসে খাবার ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং শিয়াওপিং, ওভারসিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ডিন উয়েহুয়া ই, আন্তর্জাতিক কার্যালয়ের শিক্ষক ইউআন ওয়ে।
শিয়াওপিং বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ছাত্রদের বাইরে যাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি হ্রাস করতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ঘন ঘন তাদের হাত ধোয়া, সেফটি মাস্ক পরার নির্দেশ দেন তিনি।
শিয়াওপিং আরও বলেন, সংক্রমণটি নিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। চীন সরকার দ্রুত এ মহামারী প্রতিরোধের চেষ্টা করছে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা গেছে, সেখানেও প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। সেফটি মাস্ক, নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রা মাপা, ডরমিটরিতে স্প্রে করাসহ নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।