নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের পক্ষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে স্বর্ণজয়ী তীরন্দাজ রোমান সানা যখন ল্যান্স নায়েক, তখন তার স্বজনদের মুখে হাসি ফোটারই কথা। তবে এ হাসি ছড়িয়ে পড়লো স্বয়ং রোমানের মুখেই। কারণ ২০১৪ সালে সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিতে যোগদানকারী রোমান সানা পদন্নোতি পেয়ে হয়েছেন নিজ সংস্থার ল্যান্স নায়েক। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসরে একের পর এক সাফল্য পাওয়ার পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ আনসার তাকে ল্যান্স নায়েক পদ দিয়ে সম্মাননা জানালো।
মঙ্গলবার খিলগাঁওস্থ বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির সদর দপ্তরে রোমান সানাকে ল্যান্স নায়েকের ব্যাজ পরিয়ে দেন সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী মাহবুব আরা গিনি এমপি, আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আসিফ ইকবাল, পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) নুরুল হাসান ফরিদী,উপ-পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) রায়হান উদ্দিন ফকির, বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও আসাদুজ্জামান কোহিনুর এবং বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এ অনুষ্ঠানেই সংবর্ধনা ও প্রাইজমানি তুলে দেয়া হয় গত মাসে নেপালে শেষ হওয়া ১৩তম সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে আনসারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জজয়ী ক্রীড়াবিদদের হাতে।
৭ মাস আগে নেদারল্যান্ডেসে বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জয় করে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন রোমান সানা। এশিয়া আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপেও স্বর্ণ জিতেন তিনি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে নেপাল এসএ গেমসে রিকার্ভ পুরুষ একক, পুরুষ দলগত ও মিশ্র দলগতে তিনটি স্বর্ণপদক জিতে নিজের যোগ্যতা আরো একবার প্রমাণ করেন দেশসেরা এই তীরন্দাজ। এরই পুরস্কার হিসেবে তার সংস্থা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি কৃতি এই তীরন্দাজকে ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছে। নেপাল এসএ গেমসে আনসারের ১৪৪ জন ক্রীড়াবিদ দেশের পক্ষে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের হয়ে খেলেন। যার মধ্যে একক ও দলগতে ৮টি স্বর্ণ, ১৩টি রৌপ্য ও ৪৭টি ব্রোঞ্জপদক জেতেন তারা। পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের কাল ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি দেয়া হয়। একক ইভেন্টের সোনাজয়ীদের এক লাখ, রৌপ্যজয়ীদের ৭৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক পাওয়া ক্রীড়াবিদদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পান রোমান সানা। প্রাইজমানি পেয়ে আনন্দিত ও হাস্যজ্জ্বল রোমান সানা বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই প্রাইজমানি অনেক প্রেরণার। এখন থেকে আমি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পেয়ে ভালো বেতন পাবো। এই দিয়ে আমার মাকে আরো উন্নত চিকিৎসা করাতে পারবো এবং সংসারের খরচ দিতে পারবো।’
আনসারের ডিজি মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ বলেন, ‘ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা প্রতি বছরই ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। খেলোয়াড়রা নেপাল এসএ গেমসেও সাফল্যের ধারায় থাকায় আজ আমরা তাদের সংবর্ধনা দিলাম। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বেশ ক’বার বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তীরন্দাজ রোমান সানাকে আমরা ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছি। সামনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। এ গেমসে আনসার ফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে আশাকরি। যারা পদক জিতবে তাদের জন্য এমনই সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।