মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত অন্তত ২ হাজার মানুষ। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে লক্ষণ ফুটে ওঠার আগেই ভাইরাসটি অন্যদেহে ছড়িয়ে পড়ায় দমন কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানান চীনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আরো ব্যাপকহারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয় চীনের উহান শহর থেকে। বর্তমানে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় অবরুদ্ধ শহরটি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও। উহান ছাড়াও বেশ কয়েকটি শহরে জারি রয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
চীনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওয়েই বলেন, 'ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা আরো বেড়েছে। এর বিষাক্ততা বিশ্লেষণ করতে আমাদের আরো তথ্য উপাত্ত দরকার। মহামারীটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোধ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এটা মানব দেহে প্রবেশের দু'সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। তখনও এটা একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে।'
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দমনে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে চীন। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগ বন্যপ্রাণী থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই মুহূর্তে টিকা তৈরি করার কাজ চলছে বলেও জানানো হয়। রোগ বিস্তাররোধে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
জিনইয়ানতান হাসপাতাল চীন চিকিৎসক জিয়া জিয়ান বলেন, 'আমাদের এখানে ভর্তি থাকা ২০ শতাংশ রোগীর অবস্থা গুরুতর। যাদের বেশিরভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ। আগে থেকেই তারা বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। আমরা তাদের সবধরনের স্বাস্থ্য সহায়তা দিচ্ছি।'
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া মোকাবিলায় গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী। চীন ছাড়াও, জাপান, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রিয়াসহ ১৩টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছে। আরো ব্যাপকভাবে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
চোখের মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস!
হাঁচি, কাশি ও হাতের পর এবার ধারণা করা হচ্ছে চোখের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে ভয়াবহ করোনাভাইরাস। খোদ বিজ্ঞানীরাই এমন কথা বলছেন বলে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির হাত দ্বারা চোখ স্পর্শ করলে চোখের মাধ্যমেও এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা বাস্তবিকভাবেই সম্ভব।
এখানে কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ল্যাক্রিমাল নালীর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের চোখ নাকের সঙ্গে সংযুক্ত। এতে চোখের মাধ্যমেও এর রোগ ছড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
এদিকে চীনা চিকিৎসক ওয়াং গুয়াংফা নিজেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, নাকে মুখে এবং হাতে সব ধরনের প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেয়ার পরেও তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। তার ধারণা, চোখে চশমা না পরায় সেখান থেকে ভাইরাসটি ঢুকেছে। এ জন্য বিজ্ঞানীরা নাক, হাতের পাশাপাশি এ রোগ থেকে বাঁচতে চোখের সুরক্ষা নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চীনে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত তিন হাজার মানুষ।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা যায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা আক্রান্তদের শরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সক্ষম হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।