নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর। শুরু থেকে প্রত্যাশা ছিল সিরিজ জয়। তবে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সম্ভাবনা কিছুটা কমে গেলেও অসম্ভব ছিলনা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে যা একটু লড়াই দেখা গেছে, দ্বিতীয়টাতে তাও দেখা গেল না। একবারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে মাহমুদউল্লাহরা। সিরিজ খোয়ানোর পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক আভাষ দিয়ে রাখলেন বড় পরিবর্তণের। কিন্তু কি হতে পারে সেই পরিবর্তণ? হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ইতিমধ্যেই সিরিজ জেতা পাকিস্তান। সবকিছু স্পষ্ট হবে মাঠেই।
বাংলাদেশ ১৫ সদস্যের দল নিয়ে গেছে পাকিস্তানে। সেই স্কোয়াডের ১২ জনই ইতোমধ্যে অংশগ্রহন করেছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেন করেছিলেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম। এরপর লিটন দাস, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন। শেষদিকে খেলার জন্য ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ ছয়ে নেমে একধাপ উপরে খেলান আফিফকে। এছাড়া লিটনকেও তিন থেকে নেমে যেতে হয়েছে চারে। মিঠুনের জায়গায় একমাত্র পরিবর্তন আসে মেহেদী হাসানের। তিনি ব্যাটিং করেছেন তিনে। তবে বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে চমক দেখানো এই ডাকহাতি ফিরে গেছেন মাত্র ৯ রানেই। মোহাম্মদ হাসনাইনের একটি বাউন্সারেই আত্মাহুতি দেন তিনি। এখন দলপতির ভান্ডারে আঝে অব্যবহৃত তিন অস্ত্র। বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে এবারের আসরে একমাত্র বাংলাদেশী সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা হাসান মাহমুদ ও জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ও অন্যতম সেরা পেসার রুবেল হোসেন।
কিন্তু এই তিনজনকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অর্ন্তভুক্ত করলেও কাদের পরিবর্তে খেলাবেন? এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। বলহাতে মুস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন থেকেই আছেন নিজের ছায়া হয়ে। এবার পাকিস্তান সফরেও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে বল করে মাত্র এক উইকেটের বিনিময়ে রান খরচা করেছেন ৪০। ওভার প্রতি ১০। দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়ক তার পুরো ওভারের কোটা পূরণেরই সাহস করেননি। তিন ওভারে কোন উইকেট না পেয়ে রান দিয়েছেন ২৯। ওভার প্রতি প্রায় দশ (৯.৬৬)। তার পরিবর্তে সুযোগ পেতে পারেন রুবেল। অথবা ডাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা হাসান মাহমুদও হতে পারেন বিকল্প। টপ অর্ডারে লিটন দাসের পারফরমেন্সও আশাব্যঞ্জক নয়। দুই ম্যাচে তিনি ২০ রান করেছেন (প্রথম ম্যাচে ১২ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৮)। তার বদলে দেখা যেতে পারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্তকে। তবে এসবই অনুমান। শেষ পর্যন্ত একাদশে কোন পরিবর্তন নাও আসতে পারে। পুরোনো একাদশকেই আবারও ঝাঁলিয়ে দেখা হতে পারে। পাকিস্তানের যেমনটা দেখা গেছে। প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজম ছিলেন ব্যর্থ। কিন্তু পরের ম্যাচে? তারাই হয়ে উঠেছিলেন নায়ক। তাই অনেক সময় সুযোগটাও হয়ে উঠতে পারে বড় ধরনের পরিবর্তণ হিসেবে। পরিবর্তণ শুধু খেলোয়াড় বদলিতেই সীমাবদ্ধ নয়, কৌশলেও। তাই মাহমুদউল্লাহ কি বোঝাতে চেয়েছেন তা জানতে হলে চোখ রাখতে হবে আজকের ম্যাচের দিকে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নিয়মিত খেললেও এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের উন্নতি চোখে পড়ার মত হলেও ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনেক পিছিয়ে টাইগাররা। আইসিসি র্যাঙ্কিংও বলছে সেই কথা। বাংলাদেশের অবস্থান নয়ে। সেখানে পাকিস্তান আছে শীর্ষে। এটা অনেক বড় একটা পার্থক্য। চোখে আঙুল দিয়ে এই পার্থক্যটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও। তিনি ও সুর মিলিয়েছেন অধিনায়কের কন্ঠেই, ‘সবাইকে সুযোগ দিতে হবে আমার। আমরা ২-০ তে পিছিয়ে আছি সিরিজে। স্কোয়াডের তিনজন এখনও খেলেনি, ওরা অবশ্যই আসবে দলে। আরও কিছু বিকল্প আমরা ভেবে দেখব।’
পাকিস্তান শক্তিশালী দল। তার উপর নিজেদের মাঠ। একটা বড় সুবিধা দিয়েছে স্বাগতিকদের। অবশ্য ঘরের মাঠে সবশেষ দুই সিরিজে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা) কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও আভাষ দিয়ে রেখেছেন পরিবর্তনের। তবে সেটা শুধুমাত্র স্কোয়াডে থাকা অন্য সদস্যদের সুযোগ তৈরি করে দিতে। সেই সুযোগ কি কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ? ‘হোয়াইটওয়াশ’ এড়ানোর জন্য বাংলাদেশের এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। সেই কাঙ্খিত জয় কি তুলতে পারবে টাইগাররা? পরিসংখ্যান অবশ্য কথা বলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত মুখোমুখি ১২ ম্যাচে ১০ বারই হাসি ছিল পাকিস্তান শিবিরে। বাকি দুইবার বাংলাদেশের। আজ কি তৃতীয় জয়টি আসবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।