নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ইনিংসে পাওয়া মূল্যবান লিড শ্রীলঙ্কা কাজে লাগাতে পারল না দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ডম বেস ও জ্যাক লিচের দারুণ বোলিংয়ে অল্পতে গুটিয়ে গেল তারা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় মাঝপথে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়তে বসেছিল ইংল্যান্ডও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তেমন কিছু হয়নি, স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল জো রুটের দল। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চার দিনেই ৬ উইকেটে জিতেছে ইংল্যান্ড। দুই টেস্ট সিরিজ তাই সফরকারীরা জিতল ২-০ ব্যবধানে।
প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানের লিড পাওয়া শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। ডম সিবলির অপরাজিত ফিফটিতে ১৬৪ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে দিনের শেষ ভাগে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে লিড এনে দিতে বড় ভ‚মিকা রাখা লাসিথ এম্বুলদেনিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ৪০ রান। আর কেউ যেতে পারেননি ২০-এর ঘরে। ৪টি করে উইকেট নেন ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার বেস ও লিচ।
গল গতকাল টেস্টের চতুর্থ দিনে উইকেট পড়েছে ১৫টি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৩৫.৫ ওভার টিকতে পারে তারা। লঙ্কানদের ধসিয়ে ৪৯ রানে ৪ উইকেট নেন বেস, ৫৯ রানে ৪ উইকেট পান লিচ। মাত্র ১৬৪ রানের লক্ষ্য পেয়ে পা হড়কায়নি সফরকারীদের। ওপেনার ডম সিবলি আর জস বাটলারের ব্যাটে তীরে তরি ভেড়ায় জো রুটের দল। দলকে জিতিয়ে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সিবলি, বাটলার করেন ৪৬ রান।
স্পিনারদের জন্য ভীষণ অনুকূল হয়ে পড়া উইকেটে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ১৭ রানে জ্যাক ক্রাউলিকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে সিবলির সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো আনেন ৪৫ রানের জুটি। এই দুজনকেই ফেরান লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলা ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটকে ফেরান রমেশ মেন্ডিস। ড্যান লরেন্সকে দ্রুত ফিরিয়ে ম্যাচে দশম উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে তুলেছিলেন এম্বুলদেনিয়া। কিন্তু জস বাটলারের সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে সকল শঙ্কা দূর করে দেন সিবলি।
আগের দিনের ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে নেমে দ্রুতই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। লিচকে ছেঁটে কাজটা সারেন দিলরুয়ান পেরেরা। ৩৭ রানের লিড পাওয়ায় ম্যাচটা তখন পর্যন্ত মুঠোতেই ছিল লঙ্কানদের। খেলতে নেমেই বদলে যায় পরিস্থিতি। জেমস অ্যান্ডারসন, স্যাম কারানকে দুই ওভার করে করিয়েই স্পিনারদের ডাকেন রুট। উইকেটের অবস্থায় তাতে কাজও হয় দারুণ। কুশল পেরেরাকে আউট করে প্রথম আঘাত লিচের। বেস তুলে নেন ওসাদা ফার্নেন্দোকে। লাহিরু থিরিমান্নে আর দিনেশ চান্দিমালকেও আউট করেন লিচ। বেসের স্পিনে বোল্ড হয়ে থামেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
মাত্র ৪৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ওই অবস্থা থেকে আর দাঁড়াতেই পারেনি। ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে প্রতিরোধ না আসায় হুড়মুড় করে ধসে যায় তারা। ৭৮ রানে ৮ উইকেট হারালে একশোর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা। তবে তা হতে দেননি বোলিংয়ে ৭ উইকেট নেওয়া লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। ১০ নম্বরে নেমে ৪২ বলে ৪০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি। তাতেও সামান্য একটু লড়াইয়ের পূজি মিলেছিল। তবে সিবলি-বাটলার দাঁড়িয়ে যাওয়ায় হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয়ে দিনেশ চান্দিমালের দলকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৩৮১ ও ২য় ইনিংস : ৩৫.৫ ওভারে ১২৬ (কুসল ১৪, থিরিমান্নে ১৩, ম্যাথিউস ৫, চান্দিমাল ৯, ডিকভেলা ৭, মেন্ডিস ১৬, লাকমল ১১*, এম্বুলদেনিয়া ৪০; অ্যান্ডারসন ০/৬, কারান ০/৯, বেস ৪/৪৯, লিচ ৪/৫৯, রুট ২/০)।
ইংল্যান্ড : ১১৬.১ ওভারে ৩৪৪ (আগের দিন ৩৩৯/৯) (লিচ ১, অ্যান্ডারসন ৪*; লাকমল ০/৩১, এম্বুলদেনিয়া ৭/১৩৭, ফার্নান্দো ০/৩১, দিলরুয়ান ১/৮৬, মেন্ডিস ১/৪৮)। ও দ্বিতীয় ইনিংস : (লক্ষ্য ১৬৪) ৪৩.৩ ওভারে ১৬৪/৪) (ক্রলি ১৩, সিবলি ৫৬*, বেয়ারস্টো ২৯, রুট ১১, লরেন্স ২, বাটলার ৪৮; এম্বুলদেনিয়া ৩/৭৩, দিলরুয়ান ০/৩৯, মেন্ডিস ১/৪৮)। ফল : ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : জো রুট।
সিরিজ : ২ ম্যাচে ইংল্যান্ড ২-০ তে জয়ী।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : জো রুট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।