গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আজ রোববার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। আর আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের কাছাকাছি। গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে।
আতঙ্কের কারণে দেশটির সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব নতুন চান্দ্রবছর উদ্যাপনে অন্ধকার নেমে এসেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এ মহাবিপর্যয় মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে আরো কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল নতুন করে প্রদেশটির ১৮টি শহরে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রদেশটির পাঁচ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। প্রদেশটির রাজধানী উহানে মোতায়েন করা হয়েছে চীনা সেনাবাহিনীর ৪৫০টি মেডিক্যাল টিম। সাধারণ মানুষ মাস্ক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে ভিড় করছে ফার্মেসিগুলোতে। অনেক ফার্মেসি ওষুধসংকটেও ভুগছে।
আটকা পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত চীনে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘চীনে পাঠানো হোক সরকারী কর্তাদের। কোন একটা ছুতোয় বিদেশযাত্রার হিড়িক পড়ে সরকারী কর্তাদের মধ্যে। সেও জনগনের কোটি কোটি টাকা খরচ করে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত চীনের উহান প্রদেশে শতাধিক বাংলাদেশের ছা্ত্রছাত্রী আছেন। এই ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি থেকে বাংলাদেশ আরো বিভিন্ন কারণে মুক্ত নয়। আমারও তাই প্রস্তাব করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মন্ত্রী, সচিবসহ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তাকে চীনের উহানে পাঠানো হোক। অবিলম্বে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।