পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে এলে সরকার কিছুই করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সোমবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্রিটিশ নাগরিক। জানুয়ারির শেষ দিকে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর গ্রান্ড হায়াত হোটেলে আয়োজিত কনফারেন্সে। সেখানে আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে।
ব্রিটেনে ফেরার পথে তিনি ফ্রান্সে একটি হলিডে রিসোর্টে যান। সেখানে তার থেকে সংক্রমিত হন পাঁচ ব্রিটিশ নাগরিক। এদের একজন ৯ বছর বয়সী এক বালক ফ্রেঞ্চ শিখতে দুটো স্কুলে গিয়েছিল। করোনার আশঙ্কার স্কুল দুটো বন্ধ করা হয়েছে এখন।’
ঢাবির এ অধ্যাপক আরও বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াল গতি আর বিভিন্ন দেশের প্রস্তুতির খবর পড়ি। আর ভাবি কি ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এটি এ দেশে।
‘আমার ভাবনা যুক্তিহীন নয়। করোনা চিহ্নিত করা, করোনা রোগীকে আলাদা করা এবং তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া- কোথাও আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে কি? আছে কি এমন প্রস্তুতি নেয়ার সদিচ্ছাটুকু?’
তিনি বলেন, অতীতে আগুন নেভাতে গিয়ে, মশার ওষুধ দিতে গিয়ে, গর্তে পড়া বাচ্চাকে উদ্ধার করতে গিয়ে– এমনকি ঈদের চাঁদ খুঁজে বের করতে গিয়ে আমরা আমাদের অবিশ্বাস্য অদক্ষতার পরিচয় পেয়েছিলাম।
‘আমার তাই ভয় হয়- করোনা এলে, আসলে কিছু করতে পারবে না সরকার। বরং সর্দি-কাশি-জ্বর এ ধরনের অসুখ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে।’
এমনকি সম্ভব হলে এসব ‘গুজবের’ জন্য ‘বিএনপি-জামায়াতকে’ দায়ী করবে বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ব্র্যাক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি হাসপাতাল বা অন্য কেউ- আপনাদের কি কিছু করার আছে? থাকলে এখনই শুরু করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।