Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শঙ্কায় আশ্রয়ণ প্রকল্প

গড়াইয়ে ভাঙন

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০

শুষ্ক মৌসুমের সামান্য পানির প্রবাহেও কুষ্টিয়ায় তীব্র ভাঙন চলছে গড়াই নদীর পাড়ে। এতে খোকসা উপজেলার হেলালপুর আশ্রায়ন প্রকল্পসহ আশপাশের এলাকা হুমকিতে পড়েছে। নদীর পাড়ের রাস্তাঘাটসহ স্থাপনা প্রতিদিনই ভাঙছে। এতে দারুণভাব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নদীপাড়ের মানুষ জন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, গড়াই নদীর বাম তীরে খোকসা উপজেলার হেলালপুর আশ্রায়ন প্রকল্প, শহর রক্ষাবাঁধসহ গোটা এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ও জনপদ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে আক্রান্ত এ জায়গা রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদীর ‘মরফোলজিক্যাল চেঞ্জের’ ফলে ওইখানে নদীর বাঁক জনপদে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। বর্তমানে বালির বস্তা ফেলে এ ভাঙন মোকাবিলার চেষ্টা চলছে বলে জানান এ প্রকৌশলী।
হেলালপুর সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে আকস্মিক গড়াই নদীর পাড় ভেঙে আমরা এখন চরম বিপদের মুখে।
এই প্রকল্পে আশ্রয় পাওয়া ৩৫টি পরিবারের সবাই সম্বলহীন উদ্বাস্তু বলে জানান তিনি।
তার অভিযোগ-প্রতিবছর ইটভাটার জন্য নদী ও তীর থেকে মাটি তোলার কারণে নিচু হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকে সৃষ্টি হয়েছে এ ভাঙন।
‘এই ভাঙন বন্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে আমরা যেমন ভাসমান উদ্বাস্তু ছিলাম, আবার তাই হয়ে যাব।’
ঘটনাস্থলে জর“রি বালির বস্তা ডাম্পিং কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই ভাঙনে ৬০০ মিটারের বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নদীর মাঝে চর জেগে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রবাহমুখের দিক পরিবর্তন হয়েছে এবং নদী তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে নিচু হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকে ওই স্থানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
জায়গাটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খোকসা শহর রক্ষায় এখানে গ্রোয়েনও (সিমেন্টের ব্লক ফেলা) করা হয়েছিল। সেটাও এখন চরম ঝুঁকিতে পড়েছে।
মাটি কাটার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে এস কে বি ইটভাটার ব্যবস্থাপক গণেশ কুমার জানান তারা নিজেদের জমি থেকেই মাটি কেটে উত্তোলন করেন।
এবিষয় খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা বলেন, সেখান থেকে যাতে আর কেউ অপরিকল্পিত মাটি খনন করতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়ণ প্রকল্প


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ