পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মসজিদে মাইক ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করেছে।
পীর সাহেব বলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট অপরের কষ্ট হয় এমন অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদি এমনই হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের পুরো কর্মকান্ডই হলো মানুষের বিরক্তির কারণ। তারা ঢোল তবলা বাজিয়ে মানুষের ক্ষতিসাধন করে থাকেন। অপরদিকে মুসলমানদের শুধুমাত্র আযান মাইকে দেয়া হয়, অন্যান্য ইবাদত কেবলমাত্র নিরবে করা হয়ে থাকে। শব্দ দূষণের অজুহাত তুলে এ রায় দিয়ে ভারতের হাইকোর্ট অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পীর সাহেব চরমোনাই অবিলম্বে মাইকে আযান নিষেধের রায় বাতিল করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নেজামে ইসলাম পাটি: ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদে মাইকে আযান বন্ধের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ রায় একান্তই হিন্দুত্ববাদমূখী। এই রায় মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের পরিপন্থী। হিন্দুত্ববাদী আকাঙ্খাকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছে এ রায়ে।
তিনি বলেন, ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ধর্মীয় আদর্শ ধারণ, চর্চা ও অনুশীলন যে ক্রমশঃ সঙ্কুচিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। আযান বিরোধী রায় তারই সর্বশেষ নজির। তিনি বলেন, মাইকে আযান বন্ধের রায়সহ ভারতে গৃহিত বিভিন্ন ব্যবস্থায় ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অধিকার ও মানবাধিকার মারাত্মকভাবে লংঘন হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে মসজিদে মাইকে আযান বন্ধের রায় বাতিলের জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।