পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর দক্ষিণখানে নির্যাতন করে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। শিশুটির নাম সুরাইয়া আক্তার সুরা (৯)। গত সোমবার রাত ১টার দিকে দক্ষিণখানের নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর শিশুটির সৎ মা শিউলি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে শিশুটির বাবা হাফিজুল পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাসির উদ্দিন (২৭) নামে এক কারখানার মালিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ইসলামবাগের চুনাওয়ালা ঘাটে একটি কারখানার মালিক। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের ভাই হৃদয় সাংবাদিকদের জানান, তারা চকবাজার পূর্ব ইসলামবাগে থাকেন। তার বড় ভাই নাসির উদ্দিন ইসলামবাগ চুনাওয়ালা ঘাটে একটি কারখানার মালিক। মাঝেমধ্যে রাতেও কারখানায় থাকতেন। গত সোমবার রাতেও তাকে ফোন দেন হৃদয়। তখন তিনি হৃদয়কে জানিয়েছিলেন রাতে কারখানায় থাকবেন, সকালে বাসায় ফিরবেন। সকালে অনেক সময় পর হলেও তিনি বাসায় না ফেরায় হৃদয় কারখানায় গিয়ে দেখেন নাসির ফ্লোরে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। তার শরীরে বিদ্যুস্পৃষ্টের চিহ্ন। পরে হৃদয় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। তাদের বাবার নাম আব্দুর রব। পরিবার নিয়ে সবাই পূর্ব ইসলামবাগে থাকেন। নাসির বিবাহিত। দক্ষিণখান থানার এসআই রব্বানী বলেন, সোমবার রাত ১টার দিকে দক্ষিণখানের নোয়াপাড়ায় একটি বাসা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই বলেন, নিহত শিশুর বাবার নাম হাফিজুল ইসলাম। তাদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরে। শিশুটির মা জাকিরুন বেগমের সঙ্গে বাবা হাফিজুলের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে শিউলি বেগম নামের ওই নারীকে বিয়ে করেন হাফিজুল। এরপর থেকে শিশুটি তাদের সঙ্গে থাকতো। শিশুটির আপন মা জাকিরুন বেগম ও প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শিউলি বেগমের সঙ্গে বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে শিশুটিকে মারধর করা হতো। আপন মেয়ে না হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে এ নির্যাতন করতেন শিউলি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নির্যাতন করায় সোমবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর শিউলিকে আটক করা হয়েছে। তবে শিশুটির বাবা হাফিজুল পলাতক রয়েছেন। তার শরীরে নতুন ও পুরোনো একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা জাকিরুনের করা মামলায় শিউলিকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে এসআই জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।