মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রাজিলের সীমান্তবর্তী দেশ প্যারাগুয়ের পূর্বাঞ্চলের পেড্রো জুঁয়ান ক্যাবালেরো শহরের একটি কারাগার থেকে ৭৫ বন্দি পালিয়েছে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, এদের অধিকাংশই কারারক্ষীদের সাহায্য নিয়েই প্রধান ফটক দিয়ে পালিয়েছে।
এদিকে কারা অভ্যন্তরে একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করার বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এ সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পালিয়ে যাওয়াদের একটি অংশ ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় সংগঠিত ক্রিমিন্যাল গ্যাং দ্য ফার্স্ট কমান্ড অব দ্য ক্যাপিটালের (পিপিসি) সদস্য।
সাও পাওলোভিত্তিক এই দলে প্রায় ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে এবং তারা অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা মূলত ব্রাজিল সীমান্ত থেকে প্রতিবেশী প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া ও কলম্বিয়ায় এসব পাচার করে।
গতকাল রোববার কারা কমপ্লেক্সে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ দেখে, পিসিসি সদস্যদের যে বøকে রাখা হতো তাদের কেউ নেয়। সবাই পালিয়ে গেছে। একটি সেলে ২০০ বালুর বস্তা পড়ে আছে। সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্লিডস অ্যাসিভেডো বলেছেন, এটি নিশ্চিত যে, কারা কর্মকর্তারা বন্দিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছি এবং বন্দিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। কারার লোকদের সঙ্গে অবশ্যই এদের যোগাযোগ ছিল।’
‘গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বন্দিরা পালিয়ে গেছেন। আর কারা পরিচালক বার্ষিক ছুটিতে থাকার সময়ই এ ঘটনা ঘটেছে’-যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্প্যানিশ ভাষার একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ওই কারাগারের সব কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারমন্ত্রী সেসিলিয়া পেরেজ।
এবিসি কার্ডিনাল রেডিওকে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ফ্লোরের বন্দিরাও পালিয়েছে। কারণ তাদের সেলটি খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমরা তথ্য পেয়েছি, কোনো বন্দিকে পালাতে সহযোগিতা করলে বিনিময়ে দেয়া হতো ৮০ হাজার মার্কিন ডলার এবং এটা নিশ্চিত যে, এখানে দুর্নীতি হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাসিভেডো বলেন, ‘এটা সম্ভব যে, ইতোমধ্যে বন্দিদের কেউ কেউ সীমান্ত ত্যাগ করেছেন। ব্রাজিল সীমান্তে বেশ কিছু যানবাহন পোড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।