রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিজেরাই কুপিয়েছে। তারপর প্রতিপক্ষসহ গ্রামবাসীদের নামে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান থাকায় সুলতান মৃধা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাকির হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুলতান মৃধার সাথে চম্পপাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের আবদুল মোতালেব মীর গংদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মোতালেব মীর গংদের ফাঁসাতে রাতের আধারে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে তারা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেকে কোপানোর ঘটনায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের ওই জায়গায় কোনো জমিজমা নেই। মামলার আসামি শুধু কালাম মৃধা দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব মীরের জমি বর্গাচাষ করে আসছে। তারপরও উদ্দেশ্যেমূলক ওই মামলায় গ্রামবাসীকে জড়ানো হয়েছে। মূলত সুলতান মৃধা, হানিফ মৃধা, মোশাররফ মৃধা, বাবুল মৃধা ও লিটন মৃধা মনাসাতলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের সাথে সমুদ্রে জলদস্যু ও ডাকাতদের সাথে গভীর যোগাযোগ আছে। তারা তাদের প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুপিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষে গ্রামবাসীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এবিষয়ে সুলতান মৃধা জানান, ঘটনার দিন মোতালেবের মামলায় হাজিরা দিতে কলাপাড়া আদালতে আসি। সন্ধ্যা হওয়ায় বাড়িতে না গিয়ে রাতে আমার ভাগিনা হাবিব মুন্সির বাসায় থাকি। আর প্রতিপক্ষরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকে ভেবে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সোবাহানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দুর্বৃত্তরা। এতে সোবাহানের ডান কান ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। সোবাহান বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসা করানোর পর বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।