পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দেশে প্রতিবন্ধীদের সঠিক পরিসংখ্যানিক তথ্য নেই বললেই চলে। ডব্লিউএইচও বলছে, বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শেকলে জড়ানো। কেবলমাত্র প্রতিবন্ধিতার কারণে উন্নয়নের মূল উর্মিমালা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের দেশের প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষগুলো। সমাজের ইতিবাচক মনোভাব বিলীন হওয়া এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দীর্ঘসময় মেধা, যোগ্যতা ও কাজের দক্ষতা থাকার পরেও প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং উপযুক্ত সেক্টরে অংশগ্রহণের জন্য কোনো প্রকার সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এ বিষয়টি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য যেমন লজ্জার বিষয়, ঠিক তেমনি প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তারা যে এই জাতি ও সমাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ তা স্মরণে নেই কারোই। প্রতিবন্ধিতার দোহাই দিয়ে এই বিশাল জনসম্পদকে দূরে ঠেলে দিয়ে এই দেশ কখনই পূর্ণাঙ্গ সোনার বাংলায় রূপ নিতে পারবে না। দেশের অবহেলিত এই জনসম্পদকে উন্নয়নের মূল প্রবাহে সম্পৃক্ত করা ও সেবা দানের জন্য গভর্নমেন্টাল, নন-গভর্নমেন্টাল এবং সুশীল সমাজের অনেক অবদান আছে। সরকারের তরফ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন তাদের সংখ্যা এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮০ শতাংশই দরিদ্র। সরকারকে অবশ্যই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠিকে সামাজিক নিরাপত্তা চাদরের আওতায় নিয়ে এসে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। আর এই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তর করে উন্নয়নের মূল প্রবাহে নিয়ে আসার জন্য সরকারসহ সর্বমহলকে কাজ করতে হবে।
জিহাদ হোসেন রাহাত
শিক্ষার্থী, প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজ, লক্ষ্মীপুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।