মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঐতিহ্যবাহী চীনা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী নতুন বছরের শুরুতে প্রথম চাঁদ উঠার দিন থেকে শুরু হয় নববর্ষ। এই উৎসবটি সাধারণত চীনের মূল-ভূখন্ডে বসন্তকালীন উৎসব হিসাবে পরিচিত। চীনা নববর্ষের উৎসব শুরু হয়েছে গত ১০ জানুয়ারি থেকে। এটি চলবে আগামী মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত।
এই চন্দ্র নববর্ষ চীনের বৃহত্তম উৎসব। এই উপলক্ষে দেশটিতে প্রায় একমাস সরকারী ছুটি থাকে। চীনের লাখ লাখ মানুষ পরিবার নিয়ে চন্দ্র নববর্ষ উদযাপনের গ্রামের দিকে যাত্রা শুরু করে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, চলতি বছর এই উপলক্ষে দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি লোক ভ্রমণ করবেন। এজন্য একে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক পরিভ্রমণ বলা হয়। এ বছর উৎসবের সময় যানবাহনগুলো ৩০ কোটি ট্রিপ দেবে। গত বছরের তুলনায় যা দেশটিতে গত বছরের তুলনায় ২ কোটি বেশি। চলতি বছর, দেশটির ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর এবং ফেরি বন্দরগুলিতে নিরাপত্তার জন্য ‘ফেসিয়াল রিকগনিজশন’ অর্থাৎ মুখ দেখেই নজরদারি ক্যামেরার মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করার প্রযুক্তি চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় লাখ লাখ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে গ্রামে প্রিয়জনের সাথে মিলিত হতে যাবেন।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি অনুসারে, চীনা রেল কর্তৃপক্ষ চলতি বছরে ৪৪ কোটি যাত্রী প্রেরণের আশা করছে - যা গত বছরের চেয়ে ২ কোটি ৭০ লাখ বেশি। চলতি বছর যত মানুষ ভ্রমণ করবেন তাদের সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র জনসংখ্যার চেয়ে বেশি এবং যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ছয়গুণ বেশি। আগামী ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করবেন। এছাড়াও, সড়ক পরিবহণগুলো ২৪ কোটি ৩০ লাখ বার ট্রিপ দেবে। এয়ারলাইনসগুরো ৭ কোটি ৯০ লাখ ফ্লাইট পরিচালনা করবে এবং ফেরি সংস্থাগুলি ৪ কোটি ৫০ লাখ যাত্রীকে পারাপার করাবে।
চীন উচ্চ-গতির রেল নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ করছে। ফলস্বরূপ, চীনা নববর্ষের জন্য বাসায় ফিরতে ট্রেনের টিকিট পেতে খুব একটা কষ্ট হবে না। গত মাসে, চীন ২০২২ বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য বিশ্বের প্রথম চালকবিহীন ও সবচেয়ে দ্রæতগতির বুলেট ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই ট্রেন প্রতি ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল) অতিক্রম করে।
চীনের অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থার কারনে এই বিপুল পরিমাণ মানুষ সহজেই ভ্রমণ করতে পারে। বাংলাদেশের মানুষের মতো তাদেরকে টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন ধরতে কিংবা যানজটে বিপুল সময় অপেক্ষা করতে হয় না। সূত্র : ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।