Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাগল চুরির অভিযোগ দুই যুবককে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ফতুল্লার পাগলায় দুই যুবককে ছাগল চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পিটুনিতে আহত নাঈম (২৫) কুতুবপুর ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার আব্দুর রব মাস্টারের ছেলে এবং অপরজন একই এলাকার রাতুল (৩০)।
নতুন বছরের প্রথম দিনে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কুতুবপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের পর গুরুতর আহত অবস্থায় যুবকদের পুলিশের হাতে তুলে দেন আলাউদ্দিন হাওলাদার। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আহত যুবকদের ছাগল চুরির মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন।
ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শাহী মহল্লা এলাকার শফিকুল ইসলামের দুটি বিদেশি জাতের ছাগল চুরি হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দু’জন চোরকে ধরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছাগল দু’টি উদ্ধার করা হয়।
আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, নাঈম ও রাতুলকে মারধরের সময় ছাগলের মালিক শরীফ মিয়া নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। এদিকে ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই যুবককে পেটানো হচ্ছে। আর পেটানোর নির্দেশ দিচ্ছেন আলাউদ্দিন হাওলাদার।
নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করে। ৩১ ডিসেম্বর রাতুলের সঙ্গে তাকেও মারতে মারতে নিয়ে গেছে। পরে আবার আলাউদ্দিন হাওলাদার তার অফিসে নিয়ে ইচ্ছামত পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। একটা পাগলা কুকুরকেও মানুষ এভাবে পিটায় না। আমার ছেলে অন্যায় করলে আমাদের জানাতে পারতো, পুলিশে দিতো। আমরা ওই বর্বরদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার এসআই মোদাচ্ছের জানান, ছাগল চুরির অভিযোগ পেয়ে আমি তদন্তে যাই। একটি ভিডিও ফুটেজে চুরির ঘটনাটি দেখা গেছে। পরবর্তীতে বাদী একদিন ফোন করে আমাকে জানায় চোরেরা জালকুড়ি এলাকায় অবস্থান করছে। ওই এলাকায় আমার ডিউটি না থাকায় আমি এসআই সালেককে বিষয়টি অবগত করি। সালেক গিয়ে চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মুন্সিগঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া ছাগল উদ্ধার করা হয়। আটক চোরদের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাদেরকে আদালতে চালান দেয়া হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্যাতন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ