পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন, এই অঞ্চলের কেউ নতুন করে ম‚ল্য দিতে চায় না। তিনি বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই কথা বলেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম সিএনএন। এরদোগান বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা আমাদেরকে একটি অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এই দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে ক‚টনীতির সব ধরনের উপায় ব্যবহার করছি। এই অঞ্চলে আগুন জ্বালানোর অধিকার নেই কারও। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অঞ্চলের মাটিতে যেন রক্ত ও অশ্রু না ঝরে সেজন্য সব ধরনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবো আমরা। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক কোনোভাবেই চায় না যে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন বা উপসাগরীয় অঞ্চলে কোনও প্রক্সি যুদ্ধ শুরু হোক। রাশিয়ার রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম আরআইএ নভস্তি জানায়, এই দুই দেশের প্রেসিডেন্ট অনুবাদক নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ভোররাতে ইরাকের বাগদাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। অপরদিকে, ইস্তাম্বুলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিশেষ বৈঠকে টার্কস্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন ছাড়াও আঞ্চলিক নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়। সিরিয়ার ইদলিব ও লেবাননের শান্তি আলোচনাও স্থান পায় ওই বৈঠকে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বর্তমানে টার্কস্ট্রিম প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তুরস্ক সফর করছেন। মঙ্গলবার তিনি তুরস্কে পৌঁছেন। গ্যাস পাইপলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ, সাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভিউবিক, আজারবাইজানের জ্বালানিমন্ত্রী পারভিজ শাহবাজব ও হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার থসিজ্জারতো উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের সাথে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের চুক্তি করেছে রাশিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, তুরস্কে ৩ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস রফতানি করবে রাশিয়া। ২০২০ সাল নাগাদ দুই দেশের বাণিজ্য ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে বলে প্রত্যাশা তাদের। ওই গ্যাসলাইন দিয়ে ৩১.৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা যাবে, যার মধ্যে তুরস্কের গ্রাহকদের জন্য প্রথম লাইকে ১৫.৭৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। নির্মিত গ্যাস পাইপলাইনটির নাম টার্কস্ট্রিম। হুররিয়াত ডেইলি নিউজ, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।