বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বিরোধী ঐক্য’র ব্যানারে মানবন্ধনটির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকল ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আলম বলেন, ‘স্বাধীন দেশের ৫০বছর পূর্তির সময় দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ধর্ষিত হয়; তাহলে একজন কৃষকের মেয়ের কি অবস্থা ? একজন শ্রমিকের মেয়ের কি অবস্থা হতে পারে ? আমি কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে দাঁড়াইনি, আমি দাঁড়িয়েছি কেননা আমারও ৪টি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার একটি মেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে, সে কতটুকু নিরাপদ ? রাস্তায় নিরাপদ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয় এমনকি নিজ গ্রামেও নিরাপদ নয়। তাহলে তারা কোথায় যাবে ?’
মানববন্ধনে ‘অন্যের বোনের ধর্ষণে কাঁদে না তোর মন, কেমন হবে যেদিন দেখবি ধর্ষিত তোর বোন!’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ঘরে, বাইরে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপদ নয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এখনও নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারতেছে না। এর কারণ হলো অহরহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার ধর্ষককে আটক করতে পারেনি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেনি।
এসময় আরো বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।