Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি সিঙ্গাপুরের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৫ পিএম

দশ বছরের মধ্যে গত বছর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে। দেশটির উৎপাদন খাত সংকুচিত হওয়ায় নিম্ন প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে দেশটি। খবর : রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে রপ্তানিনির্ভর দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর খাতের মন্দাবস্থাও সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধি কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। ২০১৯ সালে দেশটি জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ।
২০০৯ সালের পর এত নিম্ন প্রবৃদ্ধি আর হয়নি সিঙ্গাপুরে। এর আগে ২০১৮ সালে তিন দশমিক এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে দেশটি। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, চলতি বছর শূন্য দশমিক পাঁচ থেকে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
এক মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে। এরপর আগামী ১৮ ফেব্রæয়ারি সিঙ্গাপুরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। নতুন সরকারের বাজেটে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ থাকবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন। ডিবিএসের এক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, প্রবৃদ্ধির ক্রমেই উন্নতি হলেও তা খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। ফলে বাজেটে সরকারের সহায়তার বিষয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
২০১৯ সালজুড়ে সিঙ্গাপুরের উৎপাদন খাত এক দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে। অথচ ২০১৮ সালে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল এ খাতে। এ ছাড়া সেবা খাত এক দশমিক এক শতাংশ হারে বেড়েছে, যা ২০১৮ সালে ছিল দুই দশমিক ৯ শতাংশ। তবে দেশটির নির্মাণখাত বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগের বছর তিন দশমিক সাত শতাংশ সংকুচিত হলেও গত বছর দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েং লুং তার বার্ষিক ভাষণে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সিঙ্গাপুরও ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে মন্দা এড়ানো গেছে। অর্থনীতিতে এখনও উচ্চ প্রবৃদ্ধি হলেও তা আশানুরূপ নয় বলেও উল্লেখ করেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নীতি সহজ করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নিয়েও দেশটির অর্থনীতিবিদদের মধ্যে নানা ধরনের মত রয়েছে।
তবে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিক অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগের ত্রৈমাসিকে সংশোধিত ০ দশমিক ৭ শতাংশের তুলনায় যা বেশি।
বছর শেষে নতুন বছরের আগে গত ৩১ ডিসেম্বর দেয়া এক বার্তায় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হেসেইর লুয় বলেন, ‘বৈশ্বির অর্থনীতির ধীরগতি ইতোমধ্যে আমাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে এ বছর আমরা মন্দা এড়াতে পেরেছি। আমাদের অর্থনীতির আকার এখনো বাড়ছে। কিন্তু তা আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় কম।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিঙ্গাপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ