পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার জন্য দুটি কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। উত্তর সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য আহবায়ক করা হয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে এবং সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য আহবায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সমন্বয়ক মির্জা আব্বাস ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করবো? দলীয় কার্যক্রম কি থাকবে? নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দুটি কমিটি করা হয়েছে। উত্তর সিটিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহŸায়ক থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান। তাদের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের কমিটি হবে। দক্ষিণে আহŸায়ক থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ ও সমন্বয়ক থাকবেন মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ও দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ ২১ সদস্যে কমিটি। কমিটির বাকী সদস্যদের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি আন্দোলনের অংশ হিসেবে। নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে যোগ্য নয় তা আমরা বহুবার বলেছি, গত নির্বাচনে (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তা প্রমাণিত হয়েছে। এরপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এ কারণে যে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে নির্বাচনে থাকাটা একটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই এ কারণে যে, নির্বাচন কমিশন যে কতটা অযোগ্য, এখন পর্যন্ত তারা কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু করতে পারেনি সেটাও জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য এবং সরকার যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আগ্রহী নই সেই বিষয়টা পরিষ্কার করতে চাই। সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অবৈধভাবে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়া হবে। চিঠিতে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা এবং দাবি জানানো হবে। একইসাথে পুলিশ কমিশনার ও আইজিকে (পুলিশ মহাপরিদর্শক) চিঠি দেয়া হবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য। গণমাধ্যমে যেন নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয়, সেজন্য সরকারের কাছে চিঠি দেবো আলোচনা করবো। তিনি জানান, আমরা ইভিএম প্রত্যাখ্যান করেছি, কখনো তা মেনে নেবো না। এ বিষয়ে রোববার বিকেল ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবো। ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার জন্য কর্মসূচি দেয়া হবে।
স্কাইপিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।