পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য এক মাসেও উদঘাটন হয়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যা না দুঘর্টনা তা এখনও অন্ধকারে। ঘটনার পর আশপাশের ভবন থেকে উদ্ধার করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে খুব বেশি এগোতে পারেনি পুলিশ। রুম্পার বন্ধু আব্দুর রহমান সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তেমন কোনো তথ্য পায়নি তদন্তের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা। তবে রুম্পার পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পুলিশ এখনও তদন্ত শেষ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত রুম্পা মৃত্যুর কারন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
তদন্তকারীরা বলছেন, রুম্পার বন্ধু আব্দুর রহমান সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। ময়নাতদন্তের একটি প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাকি পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়ায় তদন্তের গতি থমকে রয়েছে।
তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ এনে রুম্পার মা নাহিদা আক্তার পারুল বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ পর্যন্ত মাত্র একদিন তাদের বাসায় গিয়েছেন কথা বলতে। এভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হল, আর তদন্ত হচ্ছে এত ধীর গতিতে। আমরা তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দিতে আবেদন করব। গত ৪ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের গলি থেকে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রুম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করলেও সেই রাতে তাকে শনাক্ত করা যায়নি। পরদিন পরিবারের সদস্যরা মর্গে গিয়ে রুম্পাকে শনাক্ত করেন। ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের সেই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ১১ ডিসম্বের রুম্পার বন্ধু আব্দুর রহমান সৈকতকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।