পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর আফতাবনগরে গতকাল ভোরে সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর একমাত্র ছেলে স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস (২৪) আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। অগ্নিকান্ডে নান্নু নিজেও আহত হয়েছেন। নান্নু দৈনিক যুগান্তরের সাবেক অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক। বর্তমানে তিনি গ্লোবাল টেলিভিশনের এডিটর (ক্রাইম) হিসেবে কর্মরত। গতকাল দুপুরে আফতাবনগরের বাসায় জানাযা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী। তিনি ঘটনাটিকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে বলেন, আগুনের নেপথ্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বুধবার দিবাগত রাত চারটার দিকে ছেলের চিৎকার শুনে দেখেন পুরো বাসায় ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। তিনি দেখেন ছেলের গেঞ্জিতে আগুন জ্বলছে এবং সে বারান্দায় বাবা বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। তিনি ছেলের রুমের দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বাসার দরজায় অটো ইলেক্ট্রিক্যাল লক ছিল। তিনি ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে আর ছেলেকে বাঁচানো যায়নি।
তিনি আরো বলেন, পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে পিয়াসকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পিয়াসকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পিয়াস একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষে ব্যবসা করছিল। প্রোভেন্স লিমিটেড নামে তার একটি কোম্পানি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সিসি ক্যামেরাসহ ইলেক্ট্রিক্যাল বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানী ও বিক্রির ব্যবসা করতো।
ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেল সিকদার জানান, ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে তারা আফতাবনগর বি ব্লকের তিন নম্বর সড়কের ৪৪ এবং ৪৬ নম্বর বাড়িতে আগুন লাগার খবর পান। তাদের ৫টি ইউনিট ১১ তলায় বাড়ির ১০তলার ওই বাসার আগুন নেভায়। বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ক্ষয়তি আড়াইলাখ টাকা ও উদ্ধার ৫০ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, ওই বাসায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এসিতে আগুন লেগেছিল নাকি বিস্ফোরণ হয়েছিল তা জানা যায়নি। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাসায় সরেজিমন গিয়ে দেখা গেছে, পিয়াসের কক্ষের প্রতিটি আসবাবপত্র পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। রুমে পোড়ারমতো কোন কিছু অবশিষ্ট নেই। ফ্ল্যাটের সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে নান্নুর ছেলের মৃত্যুর খবরে দীর্ঘ দিনের সহকর্মী ও ক্রাইম রিপোর্টাররা হাসপাতালে ছুটে যান। পিয়াসের লাশ দেখে তাদের কান্নায় সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নান্নু-শাহীনা আহমেদ পল্লবী দম্পতির একমাত্র ছেলে পিয়াসের মৃত্যুকে কোন কিছুতেই শান্তনা দিতে পারছিলেন না স্বজনরা। গতকাল দুপুরে ঢামেকে সুরহতাল শেষে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় আফতাব নগরের বাসায়। বাদ যোহর সেখানে জানাযা শেষে লাশ প্রথমে নড়াইলে নানার বাড়ি ও পরে যশোরের নিয়ে দাফনের কথা জানিয়েছেন নান্নু।
বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।