গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিলেও কিছু ওয়ার্ডে উন্মুক্ত নির্বাচন হবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। এতে প্রায় অর্ধশত বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। বিতর্কিতদের মনোনয়ন দেয়ার কারণে ঢাকা মহানগর ও থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দলের হাইকমান্ড এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেছেন প্রার্থী পরিবতনের জন্য। হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করে নেতারা বলছেন, কিছু কিছু ওয়ার্ডে উন্মুক্ত নির্বাচনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোন বার্তা নেই আওয়ামী লীগে। ইতোমধ্যে মনোনয়ন ঘোষণার পর মোট চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। তা হল- ঢাকা উত্তরে ১২ এবং ৪১; ঢাকা দক্ষিণে ১২ এবং ৩৩ নং ওয়ার্ড। আরো অনেকগুলো ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করছেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীতার ফরমও জমা দিয়েছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করবেন তারা। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি বিধায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরাও বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনের পথে হাটছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তরের বাড্ডা, ভাটারা, মিরপুরের কয়েকটি ওয়ার্ডে উন্মুক্ত নির্বাচন হবে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা। আর ঢাকা দক্ষিণে খিলগাঁও, পল্টন, রমনা, যাত্রবাড়ি, ডেমরা ও পুরান ঢাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে উন্মুক্ত নির্বাচনের দাবি করছেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা। ঢাকা দক্ষিণে ১, ১২ নং ওয়ার্ডে উন্মুক্ত নির্বাচনের গুঞ্জন সবচেয়ে বেশি। ১ নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর আলম। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন। ১২ নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মামুনুর রশিদ শুভ্র। পরে তা পরিবর্তন হয়ে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম আশরাফ তালুকদার মনোনয়ন পান। ৬৫ নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন শামসুদ্দিন ভূইয়া সেন্টু। এ ওয়ার্ডে উন্মুক্ত নির্বাচন হবে বলে দলের হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত আছে বলে ইতোমধ্যে প্রচারণা হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। যাত্রবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্না আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এছাড়াও অনেক ওয়ার্ড ও থানার নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের দারস্ত হচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।