প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কের মাত্র এক চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে দিচ্ছে পশ্চিমারা
ব্রিটেনের সানডে টাইমস রোববার জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুর মধ্যে ইউক্রেন পশ্চিম-প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কগুলোর এক চতুর্থাংশের কম পাবে। এতে
জাহানারা আরজু
স্পর্ধিত শব্দাবলী
না- আমার তেমন কিছু সম্বল নেই-
ক্ষমতা নেই সুদৃঢ় পদক্ষেপে ওই প্রশস্ত রাজপথে হেঁটে যাবার-
না- আমার কথা বলার সজ্জিত কোনো মঞ্চও নেই,
হাততালি দেবার ভক্তবৃন্দ নেই-
নন্দিত পুষ্পস্তবকে আচ্ছাদিত হব না কখনো;
আমার নেই শ্বেতমর্মর খচিত রাজপ্রাসাদ,
নেই হীরা মণি মাণিক্যের ছড়াছড়ি-
অঙ্গুলি নির্দেশে ছুটে আসবে না কোনো সেপাই সান্ত্রী লোক লস্কর-
ক্ষোভ নেই এতটুকু তাতে,
আমার যা আছে, অফুরন্ত সে ভা-ার-
আমার বুকের ওঠা-নামায়, ধমনীর শিরায় শিরায়
আছে কিছু শব্দাবলী- রিম ঝিম, রক্তদোলায় সে ধ্বনি
সৃজনের নূপুর হয়ে বাজে প্রতিক্ষণ-
প্রতিদিনের রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে যার ক্ষয় নেই,
সে শব্দাবলী কুসুম সম্ভারে আমি এক চির বসন্তের
বাগান গড়ে নিতে পারি, যেখানে নিত্য ফুল শাখাতে
দোল খায় গানের পাখি, হলুদ-নীল-সোনালি পাখায়-
চৌদিকে রঙিন প্রজাপতিরা ওড়ে, নীল ময়ূরীর পাখায়
শাওনের দোলা, আকাশের সাদা ভেলায় মুক্ত বলাকার সারি;
আমার সে শব্দমালা নিয়ে আসে হৈমন্তী সোনা ঝরা কৃষানের
স্বপ্নÑ সফল মাঠ, অভুক্ত শিশুর জঠরে অফুরন্ত ক্ষুধার
সাদা ভাত, পৃথিবীর সব দুঃখ মুছে দিয়ে নিয়ে আসে এক
সোনালি সূর্যের সকাল এবং চাঁদের প্লাবনে ঢেউ-ভাঙা রূপালি আকাশ!
আমার শব্দাবলী মেঘের মিনার ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ে যায়
অনন্তকালের যাত্রায় নির্ভীক ডানায় উড্ডীন-
আমার লাগে না কোনো নভোযান অথবা ছাড়পত্র,
কোনো কাঁটাতারের শাণিত শাসন নেই আমার সীমানায়-
ফাহিম ফিরোজ
মুজিবের নৌকা
লোকগুলো ঠিকঠাক কাছা
না মেরেই নৌকা ছূঁতে গেলো! কাদা আর খানাখন্দে পড়লো সবাই। একি কিম্ভুত কিমাকার! সারা গায়...। দেখে আর হাসে জানলা গলিয়ে
খুকির মায়, রবুর খালায়।
দৃশ্যপটে, আজ বুড়া
ব্যাঙও লাফিয়ে ওঠে!
মিয়াভাই,দেখো, শেখো-
জল কেটে কেমন যায়রে
বাঁকানো সুন্দর!
শব্দের তুফান হয়ে সামনে এগোয়।
পলিমাটির রং; সেগুনে নির্মান।
জয়বাংলার গতি নিয়ে
বৈঠাধররা খুউব শক্তিশালী!
নইমুদ্দিন কওছে দেখি,
কে থামায় দমায়, এই দুর্দমনীয়
যান,বংগদেশে? জ্বালানী তাহার
আঠারো কোটি আগুনে রিয়েক্টর--
পিছনে ও পাশে।
চলে নাও দুইলা দুইলা!বাহে...
৯/১২/২০১৯
আলম মাহবুব
ঐতিহ্য
আমাদেরতো ছিল খৈ ফোটা জোছনা
বৃষ্টিব ফাগুন, বর্ষার বিলে কৈয়ের ঝাঁক
হেমন্তের নবান্নে মুঠো ভরা আলোর স্বপ্ন
কাঁঠালি ছায়ায় ঘুঘু ডাকা তরল দুপুর।
আমাদেরতো ছিল নদীর বাঁশি
জলের বাউল, বাদাম তোলা নায়ের সারি
লাল নীল প্রজাপতির ভীড়ে
সন্ধ্যার ঝিঁ ঝিঁ ডাক
শীতল পাটিতে রূপকথা কাহিনী।
আমাদেরতো ছিল পাল্কীতে রাঙা বৌ
গামছা বান্ধা দই, ইষ্টিকুটুম
আমাদেরতো ছিল রাখাল বন্ধু মোষের শিং
আমাদেরতো ছিল পদ্মদীঘীর
শান বাঁধানো ঘাটে আলোর প্রহর
বটের ছায়ায় চাঁদের হাঁট
আমাদরতো ছিল ছৈঅলা নায়ে ভাটির টান
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূ জলকে চলা নদীর ঘাট।
টিপু সুলতান
আমি লাল গোলাপের দিকে তাকালাম
পান্ডুলিপি ঘোর কুয়াশা, সুপারী বাগান হতে বেরিয়ে এলো
আমার সামনে,ক্ষীয়মাণ দোষে রাঙা রক্তের নিন্দে করতে-
এক পুরাতন বিলাসে ছায়া রোপণকারী,রোমন্থন হাসি,
আমি লাল গোলাপের দিকে তাকালাম-তাকালাম আসমানে
কতজন ছুঁয়ে গেছে তার আদিগন্ত পাপড়ি,উঠোনবেলার বৃক্ষতল;
তারপাশে পুতুলের পৃথিবী,উঁচুঢিবির আলোয় বুক পোষা রোদ্দুর
নেতিয়ে গেছে শামুকের মতো জলপা-বারান্দা-শজারুর মতো
নেপিয়ার ঘাসপাতায় জম্ম নিয়েছে শিশির
আমি ইন্দ্রজিত পুরুষে বিদ্ধ হলাম নতুনভাবে, মাংসকুচো আঙ্গুলে ঠেকিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।