আমাদের লোকসংস্কৃতি
কোনো লোক তথা জনবসতির আবহমানকালের ধারায় গড়ে ওঠা সংস্কৃতিই হলো সেখানকার লোকসংস্কৃতি। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি অত্যন্ত
বাংলাদেশের একটি নিজস্ব সন আছে, যা ‘বাংলা সন’ হিসেবে অভিহিত। এই সনের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনকে এদেশের মানুষ নববর্ষ হিসেবে উদযাপন করে থাকে। অনেক দেশ ও জাতির স্বকীয় সন নেই। নববর্ষ নেই। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ সৌভাগ্যের অধিকারী। ‘সন’ আরবি শব্দ, যার অর্থ বর্ষ বা বর্ষপঞ্জি। বাংলা সন বলতে বোঝায় বাংলা পঞ্জিকা বা বছরের দিন, ক্ষণ ইত্যাদির তালিকা বা হিসাব। ‘সনে’র স্থলে ‘সাল’ও ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসি থেকে এসেছে। এতে স্পষ্ট হয়, বাংলা সনের সঙ্গে আরবি ও ফারসি ঐতিহ্যের সংস্পর্শ আছে। আরবি-ফারসি ঐতিহ্য মুসলিম ঐতিহ্যেরই নামান্তর। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, দেশনাম ‘বাংলা’, ভাষানাম ‘বাংলা’ এবং জাতিনাম ‘বাঙাল’ বা ‘বাঙালি’ মুসলমান শাসকদের দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত। বাংলা সন ও বাংলা নববর্ষও তাদেরই অবদান।
বাংলা সনের উদ্ভব ও প্রতিষ্ঠার সঙ্গে মুঘল সম্রাট আকবরের নাম জড়িত। ঐতিহাসিকদের মতে, হিজরি সন থেকেই বাংলা সনের উদ্ভব। তৎকালে হিজরি সন প্রচলিত ছিল। কিন্তু হিজরি চান্দ্র সন হওয়ায় ঋতুর সঙ্গে মাসগুলোর স্থিরতা ছিল না। ফলে রাজস্ব আদায়ে কয়েক বছর পর পরই জটিলতা দেখা দিত। তখন ফসলের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হতো। ফলে রাজস্ব আদায়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করা কঠিন হতো। এই অসুবিধা ও জটিলতা নিরসনের জন্য সম্রাট আকবর খ্যাতিমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজীকে দায়িত্ব দেন নতুন সন উদ্ভাবনের জন্য। ফতেহ উল্লাহ সিরাজী প্রচলিত হিজরি সনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে বাংলা সন প্রণয়ন করেন। হিজরি চান্দ্র সন হলেও বাংলা সন গঠিত হয় সৌর সনের আদলে। বাংলা সনের অনুসঙ্গী হয়ে আরো বেশ কিছু সনের উদ্ভব হয়। এগুলো ফসলি সন হিসেবে গণ্য। বাংলা সনও এর ব্যতিক্রম নয়।
সম্রাট আকবরের নির্দেশে আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী হিজরি সনকে ভিত্তি ধরে সৌর সনের অবয়বে বাংলা সন প্রণয়ন করেন- এটাই ঐতিহাসিকদের সুচিন্তিত অভিমত। বাংলা সনের স্থলে ‘বঙ্গাব্দের’ ব্যবহার দেখে অনেকের ধারণা, বাংলা সনের চেয়ে বঙ্গাব্দ হয়তো আরো প্রাচীন। কেউ কেউ রাজা শশাংককে বঙ্গাব্দের প্রবর্তক মনে করেন। কারো কারো মতে, বাংলার সুলতানী আমলে বাংলা সনের উদ্ভব। কিন্তু এ সব দাবির সপক্ষে পর্যাপ্ত নথিতথ্য পাওয়া যায় না। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন: ‘এটা পরিষ্কার যে, আকবরের রাজত্বের আগে বাংলা সন ব্যবহারের কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ও আলোচিত তথ্যাদি আকবরের আমলের চান্দ্র-হিজরির অব্দ সংস্কারের মাধ্যমেই বঙ্গাব্দের সূচনা ইঙ্গিত করে।’ পশ্চিমবঙ্গেরই পলাশবরন পাল নামের আরেকজন ইতিহাসবিদ বলেছেন: “কুড়ি-পঁচিশ বছর আগে ‘বঙ্গাব্দ’ শব্দটার চল ছিল না, আগে বলা হতো ‘সাল’ বা ‘সন’।... এখানে মনে রাখতে হবে, সাল কথাটা ফারসি, সন শব্দটা আরবি। এ থেকে মনে হয়, হিজরি ক্যালেন্ডার থেকেই কোনোভাবে উদ্ভূত আমাদের ‘বাংলা অব্দ’ বা ‘বাংলা সাল’।”
বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক মুহম্মদ আবূ তালিব বলেছেন: ‘আইন-ই-আকবরী’ থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবর এমন একটি ত্রুটিমুক্ত এবং বিজ্ঞানসম্মত সৌরসনের প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, যা জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্যই আদর্শ হবে। বাংলা সনের মাধ্যমে তার সে আকাক্সক্ষা পূরণ হয়েছিল বলে মনে করা যেতে পারে। কেননা, বাংলা সন যেমন ‘হিজরি সন’ নয়, তেমনি এটি ‘এলাহী সন’ থেকেও ভিন্ন। হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করা হলেও এর গঠন পদ্ধতি ভারতীয় শকাব্দের মতো। অথচ, এটি শকাব্দেরও সমগোত্রীয় নয়। শকাব্দের সঙ্গে এর সম্পর্ক এইটুকু যে, এর মাস ও দিনের নাম শকাব্দ থেকে গৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ আবূ তালিবের এ অভিমত বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। বোঝা যায়, বাংলা সন একটি আলাদা বা স্বতন্ত্র সন। অভিনব বললেও অত্যুক্তি হবে না।
মানুষ সূর্য ও চন্দ্রের পরিক্রমাকে সামনে রেখে দিন, মাস, বছর ইত্যাদি গণনার রীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘সূর্য, চন্দ্র আবর্তন করে নির্ধারিত কক্ষপথে’। আল্লাহপাক দিন ও রাত্রিকে নিদর্শন হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এই নিদর্শনের একটি বিশেষ লক্ষ্য হলো, বর্ষ সংখ্যা ও হিসাব স্থির করা। সূর্যের নিজ কক্ষপথে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। অন্যদিকে চন্দ্র তার কক্ষপথে ঘুরে আসতে সময় নেয় ৩৫৪ দিন ৮ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট। সূর্য ও চন্দ্রভিত্তিক বর্ষ গণনা কবে কোথায় সূচিত হয়েছিল তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মিসরে প্রথম বর্ষ গণনার রীতি প্রবর্তিত হয়। সেটা প্রায় ৬ হাজার বছর আগে। সম্ভবত শুরুতে এটা ছিল চন্দ্রভিত্তিক গণনা। আবার ওই মিসরেই প্রথম চন্দ্রভিত্তিক গণনার স্থলে সূর্যভিত্তিক গণনার প্রচলন হয়। কৃষি সভ্যতার উৎপত্তিস্থল হিসেবে মিসর খ্যাত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঋতুর আবর্তনের সঙ্গে ফসল বোনা, আবাদ, পরিচর্যা ও কর্তনের অনিবার্য সম্পর্ক থাকার প্রেক্ষাপটে চন্দ্রভিত্তিক বর্ষ গণনার স্থলে সূর্যভিত্তিক বর্ষ গণনা প্রাধান্য লাভ করে। উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর হিজরি সন প্রচলিত হলেও প্রয়োজনে বাংলা সনের মতো অনেক সৌরসনও চালু হয়। আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী বাংলা সনকে ৩৬৫ দিন ধরে হিসাব নির্ধারণ করেন। তিনি এর সঙ্গে শকাব্দের মাস, দিন ইত্যাদির নাম যেমন বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, শনি, রবি প্রভৃতি যুক্ত করেন। সেই সঙ্গে এই সনের সঙ্গে সংযুক্ত হয় চন্দ্রভিত্তিক ৩০টি তিথি। দুই পক্ষে বিভক্তি তিথিগুলো। যথা- শুক্ল পক্ষ, কৃষ্ণ পক্ষ।
বাংলা সন বাংলাদেশের জাতীয় সন। এর পাশাপাশি হিজরি সন ও খ্রিস্টীয় সনও চালু আছে। একটি দেশে একই সঙ্গে তিনটি সনের অনুসরণ খুব কমই দেখা যায়। এই তিন সনের মধ্যে হিজরি সবচেয়ে প্রাচীন। তারপর বাংলা। সর্বশেষ অবস্থানে খ্রিস্টীয় সন। বাংলায় মুসলিম শাসন সূচিত হয় ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যমে। অনুমিত হয়, তখনই হিজরি সন কার্যকর হয়। দিল্লিভিত্তিক এবং মুসলিম শাসন ও অন্যান্য সালতানাতেও হিজরি সন অনুসরণ হয়। বাংলাদেশে এখন ধর্মীয় বিভিন্ন দিন-তারিখ হিজরি সন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। যেমন- রমজান, শবে মেরাজ, শবে কদর, শবে বরাত, মুহররম, দুই ঈদ ইত্যাদি। ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ও এবাদত-উৎসব হিজরি সন অনুসারে হয়ে থাকে। বলা যায়, ধর্মীয় জীবন নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় হিজরি সন মোতাবেক।
যেহেতু বাংলা সন ফসলি সন হিসেবে প্রণীত, সুতরাং বুঝতে অসুবিধা হয় না, কৃষির সঙ্গেই এর বিশেষ সম্পর্ক। কৃষিজীবী মানুষের দৈনন্দিন জীবনকর্মের প্রতিফলন রয়েছে এই সনে। ফসল বোনা থেকে শুরু করে ফসল ওঠা পর্যন্ত যাবতীয় কর্মপ্রবাহ পরিচালিত হয় এই সনের দিন-তারিখ অনুযায়ী। ব্যক্তি জীবন, যেমন- জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ ইত্যাদি এবং পারিবারিক কর্মাদি এই সন মাফিক হয়ে থাকে। বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং ক্রীড়া প্রদর্শন ইত্যাদি বাংলা সন অনুযায়ীই হয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখের মেলা বিনোদন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের একটা বড় ধরনের উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত। এখন গ্রামাঞ্চলে এসব অনেকটাই কমে গেছে। শহরাঞ্চলে ভিন্নভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে এর কিছু কিছু অনুসৃতি লক্ষ করা যায়। শহরে খুব জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয় নববর্ষ। প্রথম বাংলায় এবং পরে গোটা উপমহাদেশ কোম্পানি ও ব্রিটিশ শাসনামলে দৌর্দন্ড প্রতাপ ছিল খ্রিস্টীয় সনের। ব্রিটিশ শাসকদের যাবতীয় কার্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ইত্যাদি খ্রিস্টীয় সন অনুসারে পরিচালিত হতো। অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলত এই সন অনুযায়ী। ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর প্রায় পৌনে এক শতাব্দীকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আমাদের রাষ্ট্রীয় ও শাহুরিক জনজীবনে খ্রিস্টীয় সনের ব্যাপক প্রভাব প্রত্যক্ষ করা যায়। এখনো আমাদের অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে খ্রিস্টীয় সন অনুসরণ করে। আমাদের অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস ও অনুষ্ঠানাদি খ্রিস্টীয় সন-তারিখ অনুযায়ী পালিত হয়। খ্রিস্টীয় সন এভাবে টিকে থাকার একটি বড় কারণ, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সনটিই অনুসরণ করা হয়ে থাকে। মোট কথা, বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয়, আর্থসাংস্কৃতিক ও আন্তর্জাতিক জীবনকর্ম পৃথক তিনটি সন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই তিনটি সনের নির্বিরোধ সহাবস্থান এখানে লক্ষ করা যায়।
বাংলা সনের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ্য বিশেষ করে খ্রিস্টীয় সনের সামঞ্জস্য বিধানের জন্য সংস্কারের প্রয়োজন বহু দিন ধরে অনুভূত হলেও গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকের আগে সেটা করা সম্ভব হয়নি। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বাংলা সনের দিন-তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি। ওই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাই সুপারিশ আকারে পেশ করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, বাংলা সনের প্রথম মাস বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত প্রত্যেক মাস হবে ৩১ দিনে। ষষ্ঠ মাস আশ্বিন থেকে দ্বাদশ মাস চৈত্র পর্যন্ত প্রত্যেক মাস হবে ৩০ দিনে। লিপইয়ার বা অধিবর্ষ সম্পর্কে বলা হয়, লিপইয়ারের চৈত্র মাস হবে ৩১ দিনে। এ-ও উল্লেখ করা হয় যে, ৪ দিয়ে বিভাজ্য সাল অধিবর্ষ হিসেেেব গণ্য হবে। তবে ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে বাংলা সনের প্রথম ছয় মাস ৩১ দিনে, ফাল্গুন মাস ২৯ দিনে এবং অবশিষ্ট মাসগুলো ৩০ দিনে হিসাব করা হচ্ছে। শুধু লিপইয়ারের সময় ফাল্গুন মাস ৩০ দিন গণনা করা হচ্ছে। বলাবাহুল্য, এই সুপারিশ বাস্তবায়নের ফলে বাংলা সনের সঙ্গে খ্রিস্টীয় সন বা অন্যান্য প্রধান সনের কোনো অসামঞ্জস্য নেই। যেমন- খ্রিস্টীয় সন অনুযায়ী যে দিন ১৪ এপ্রিল, বাংলা সন অনুযায়ী সেদিন ১ বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ। এই দিন-তারিখের কোনো হেরফের হয় না। স্বাধীনতার পর জাতীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা সনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বাংলা সনের প্রচলন কার্যকর হয়েছে।
এখন প্রতি বছরই ঘটা করে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। এক সময় কিন্তু এ রকম ছিল না। তখন নববর্ষ উদযাপনকে বাঁকা চোখে দেখা হতো। নববর্ষের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক বিশিষ্ট গবেষক শামসুজ্জামান খান তার এক নিবন্ধে লিখেছেন: ‘১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগ উৎখাত হয়ে যাওয়ার পরই শুধু যুক্তফ্রন্ট সরকার ও তার মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করে বাঙালির জাতিগঠন ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে একটি সুস্পষ্ট পথনির্দেশ দান করেন এবং সে বছর বিপুল উৎসবে বাঙালি নববর্ষ উদযাপন করে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক সরকার বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করে এবং সে বছর নববর্ষ অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম হয়।’ উল্লেখ্য নিষ্প্রয়োজন, স্বাতন্ত্র্যবোধ ও স্বকীয়তাবোধই এর কারণ। এখন নববর্ষে সরকারি ছুটি থাকে এবং জাতীয় উৎসবের আকারে নববর্ষ উদ্যাপিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।