Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে উ. কোরিয়া, সতর্কতা

আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা কি খোলাসা করেননি কিম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

অপর এক খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ‘গুরুতর পরিস্থিতি’র মুখোমুখি হয়েছে বলে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। একই সঙ্গে অর্থনীতিকে বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে সংশোধিত ব্যবস্থা নিতে দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে কিম জং উনের এই সতর্কবার্তার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিগগিরই কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হলে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু করবে। পিয়ংইয়ংয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের এই বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার। কিম জং উন দলের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। রোববার বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক বিকাশে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সময় এসেছে। উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলছে, জাতীয় অর্থনীতির প্রধান প্রধান শিল্প খাতের গুরুতর পরিস্থিতি জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করার জন্য দলের নীতি-নির্ধারণী পরিষদের কর্মকর্তাদেরনির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়া কখনই দেশটির অর্থনৈতিক কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না। মতো উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে দলীয় প্ল্যানারি এই বৈঠক দু›দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। অপর এক খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ‘ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক’ ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে ‘আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা’ বলতে কিম কি বুঝিয়েছেন তা খোলাসা করেনি তারা। পিয়ংইয়ংয়ে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কয়েকদিনব্যাপী প্লেনারি বৈঠকের শুরুতে দেওয়া বক্তৃতায় কিম এ ইঙ্গিত দেন বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে। বছর শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক উত্তর কোরিয়ায় সাধারণত হয় না বলে পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনার সমাপ্তি টানতে ও নতুন করে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্মকৌশল ঠিক করতেই এ প্লেনারি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলেও উদ্বেগ তাদের। পিয়ংইয়ং নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা তার চেয়েও আধুনিক কোনো অস্ত্র উৎক্ষেপণ বা পরীক্ষা করলে ওয়াশিংটন ‘ভয়ানক হতাশ’ হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোনো সমঝোতা ছাড়াই ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করে। বছরের মাঝামাঝি দুই কোরিয়ার সীমান্তে ট্রাম্প-কিমের দেখা হলে নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে এ বছরের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে কার্যকর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হতে বলেছিল। নাহলে পিয়ংইয়ং ফের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হবে বলেও হুঁশিয়ারি ছিল তাদের। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার কিম ওয়ার্কার্স পার্টির ওই প্লেনারি বৈঠক উদ্বোধন করেন। পরে রোববারের বৈঠকেও তিনি সভাপতিত্ব করেছেন। বৈঠকটি সোমবারও চলতে পারে বলে কেসিএনএ ইঙ্গিত দিয়েছে। এএফপি, রয়টার্স, কেসিএনএ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিম

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ