নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিভারপুলে তিন দশকের লিগ শিরোপাখরা তাহলে কাটতে চলছে? পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান যাই হোক, লিভারপুলকে নিয়ে এ ব্যাপারে ইতিবাচক কথা বলতে অনেকেরই দ্বিধায় থাকার কথা। ১৯৯০ সালে সবশেষ লিগ শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। এরপর বেশ কয়বার শিরোপার সুবাস পেয়েছে অ্যানফিল্ড, কিন্তু কীভাবে যেন তীরে এসে তরি ডুবেছে। এ কারণে লিভারপুল লিগ শিরোপা জেতার পরই বিশ্বাস করতে চাইবেন অনেকে। তবে এবার পরিস্থিতি অনেক সহজ। পরশু রাতে তো লেস্টার সিটিকে তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এতটাই ভালো খেলেছে যে দলটির রাইট ব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড বলেছেন, এই মৌসুমের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে লিভারপুল।
টেবিলে দ্বিতীয় দল লেস্টারকে পরশু ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। জোড়া গোল করেন অলরেডদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। এর মধ্যে ৭৪ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলটি ছিল সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুলের ৫০০তম গোল। একটি করে গোল মিলনার ও আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের। লেস্টারের সঙ্গে শিরোপাজয়ের সুবাস পাওয়ার মতো দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে লিভারপুল। ১৯ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে লেস্টার। লিভারপুল তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। দুটি দলের মধ্যে ব্যবধান ১৩ পয়েন্টের। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার সিটি। এ পর্যন্ত ১৮ ম্যাচের ১৭ টিতেই জয় তুলে নেওয়া লিভারপুলকে থামানো এবার ভীষণ ভীষণ কঠিন।
লিভারপুলেই জন্ম নেওয়া বিবিসি স্পোর্টসের প্রধান ফুটবল লেখক ফিল ম্যাকনাল্টি তাই লিখেছেন, ‘লেষ্টারকে উড়িয়ে লিভারপুল নিশ্চিত করেছে শিরোপার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।’ একই প্রতিবেদনে তার ভাষ্য, ‘এটা এমন এক রাত ছিল যেখানে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাদৌড়ের নিষ্পত্তি প্রায় হয়ে গেছে।’
তিনে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়েও ১৪ পয়েন্ট এগিয়ে লিভারপুল। পেপ গার্দিওলার সিটির কাছে সমীকরণটা সোজাসাপ্টা হয়ে পড়বে, সবার আগে নিজেদের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জিততে হবে। এর পাশাপাশি লিভারপুলকে তাদের বাকি ২০ ম্যাচের মধ্যে অন্তত ১২ পয়েন্ট হারাতে হবে। কিন্তু এ মৌসুমে লিভারপুল যে ফর্মে রয়েছে তাতে সম্ভবত সিটিও বিশ্বাস করে না, ক্লপের দল এত পয়েন্ট হারাতে পারে!
অন্যদিকে লিগের আরেক ম্যাচে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে শুরুতে কাঁপিয়ে দেয় নিউক্যাসল ইউনাইটেড। পিছিয়ে পড়ার পর যেন জেগে উঠে উলে গুনার সুলশারের দল। ঘুরে দাঁড়ানো স্বাগতিকদের সামনে পরে আর দাঁড়াতে পারেনি স্টিভ ব্রুসের দল। লিগের ম্যাচে পরশু ৪-১ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। জোড়া গোল করেছেন অঁতনি মার্সিয়াল, একটি করে মার্কাস র্যাশফোর্ড ও ম্যাসন গ্রিনউড।
ঘরের মাঠে শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ছিল ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগে পয়েন্টের দিক থেকে সমতায় থাকা দুটি দলের লড়াইয়ে আলো ছড়াচ্ছিল নিউক্যাসল। প্রথম পরিষ্কার সুযোগটি পায় তারাই। ষোড়শ মিনিটে কিপারকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি স্ট্রাইকার ডোয়াইট গেইল। ২৪তম মিনিটে সমতা আনেন মার্সিয়াল। আন্দ্রেয়াস পেরেইরার কাছ থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। চার মিনিট পর বিপজ্জনক জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি র্যাশফোর্ড। ৩৫তম মিনিটে ফাবিয়ান শারের উপহার দারুণভাবে কাজে লাগান গ্রিনউড। নিউক্যাসল ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন। সøাইড করা ফেদরিকো ফের্নান্দেসের পায়ে লেগে একটু দিক না পাল্টালে হয়তো বাঁচাতে পারতেন নিউক্যাসল কিপার। ছয় মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান র্যাশফোর্ড। ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান-বিসাকার ক্রসে এই স্ট্রাইকারের নিখুঁত হেড খুঁজে নেয় ঠিকানা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যেন আবার উপহার দেয় নিউক্যাসল। ৫১তম মিনিটে শন লংস্টাফের দুর্বল ব্যাকপাস ধরে স্কোর লাইন ৪-১ করে ফেলেন মার্সিয়াল। পরে ব্যবধান বাড়ানোর কয়েকটি সুযোগ এলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি সুলশারের শিষ্যরা। এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে ইউনাইটেড। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে রয়েছে নিউক্যাসল। দিনের অন্য ম্যাচে বোর্নমাউথের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্সেনাল। সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে চেলসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।