পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে এবার আওয়ামী লীগ নিজেরাই ফেঁসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মী। এতে জনগণ বিস্মিত নয়, কারণ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় প্রমাণিত হয়েছে, জনগণের সেই আশংকাই সত্যি হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা সঠিক নয় বলে সমালোচনা করছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন তালিকায় বেশী ভুল প্রমাণিত হলে তা প্রত্যাহার করা হবে। আওয়ামী লীগের থলের বিড়াল বের হতে শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন ওঠছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেহারা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা এখন নিজেরাই কুতর্কে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজারতি করছেন তারাই মিথ্যা অপপ্রচারে আর কুৎসা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছেন। সর্বগ্রাসি দখল এবং কূটকৌশলে অবৈধ ক্ষমতা নিরাপদ করার জন্য এখন দেশকে নানাভাবে বিভাজন ও বিভ্রান্তির কুয়াশায় ঢাকতে চাচ্ছে এই সরকার। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করতে গিয়ে নানারকম অঘটনের জন্ম দিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারো কারো বিচার হয়েছে। আবার কেউ কেউ আত্মীয়তার বন্ধনের কারনে দিব্যি বহাল তবিয়তে আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক কেলেংকারির জন্ম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দোষ আর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর দায় চাপাচ্ছে। যেই মন্ত্রণালয়ের দায়ী থাকুক, আওয়ামী লীগ মুলত স্বাধীনতার মুল স্পিরিটের বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হচ্ছে গণতন্ত্র-সাম্য-মানবিক মর্যাদা-এবং ন্যায় বিচার। এর কোনোটিই আওয়ামী রাজনীতির ঐতিহ্যে নেই। এদের ঐতিহ্য ময়দান থেকে বিরোধীদেরকে নিশ্চিহৃ করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দখলে রাখা। আওয়ামী লীগের অনিবার্য সারসত্য হচ্ছে এরা একনায়ক সুলভ মনোভাবের কর্তৃত্ববাদী নিষ্ঠুর শাসক যার সাথে কেবল হালাকু খাঁ, আইয়ুব, ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানেরই বৈশিষ্ট্যের সাথেই মিল রয়েছে। ৭১ এর পাকিস্তানি শাসকরা জণগনের ম্যান্ডেটকে স্বীকার করেনি, গণতন্ত্র হত্যা করে, নারী নির্যাতনসহ পাইকারী হারে বাংলাদেশের জণগনকে হত্যা করে ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী লীগের হাতে বারবার গণতন্ত্র হত্যা হয়ে একদল কায়েম হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতনের মহাসমারোহ চলছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্বিচারে হত্যা, ঘুম ও খুন অব্যাহত রয়েছে। এই সরকারের পতন ছাড়া দেশের বিরাজমান গুমোট অবস্থা দুর হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।