পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আর্মেনীয় গণহত্যার ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেস যে বিল পাস করেছে তা যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমোদন করা হয় এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করা হয় তাহলে মার্কিন সেনাদের জন্য ইনজারলিক বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেয়া হবে। রোববার তুরস্কের হাভের টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যদি প্রয়োজন হয় এমন ব্যবস্থা নেয়ার তাহলে আমাদের সে কর্তৃত্ব আছে এবং আমরা মার্কিন সেনাদের জন্য ইনজারলিক বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেব। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তার দেশ কুরেসিক রাডার ঘাঁটিও বন্ধ করে দেবে। তুরস্কের দক্ষিণে অবস্থিত ইনজারলিক ঘাঁটিতে পরমাণু বোমা মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা। এছাড়া, আগেভাগে সতর্ক সংকেত পাওয়ার জন্য তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুরেসিক ঘাঁটিতে আমেরিকা উন্নত ধরনের রাডার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। কয়েকদিন আগে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগøু ইনাজারলিক বিমানঘাঁটি বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর গতকাল তুর্কি প্রেসিডেন্ট বন্ধের হুমকি দিলেন। অপরদিকে, ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের একটি গবেষণা জাহাজকে সাইপ্রাসের পানিসীমা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক। ভ‚মধ্যসাগরে তুর্কি যুদ্ধজাহাজের চ্যালেঞ্জের মুখে ইসরাইলেরও ওই গবেষণা জাহাজটি এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ইসরাইলি এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে চ্যানেল থার্টিন শনিবার এ খবর প্রকাশ করেছে বলে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে। তুরস্ক ওই এলাকাকে নিজের বলে দাবি করে আসছে। চ্যানেল থার্টিনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইপ্রাস সরকারের সহযোগিতায় ইসরাইল ওই এলাকাটিতে গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনা করছিল। দুই সপ্তাহ আগে ভ‚মধ্যসাগরের গালিম এলাকায় তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ থেকে ইসরাইলি জাহাজটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তুর্কি সেনা কর্মকর্তারা রেডিও বার্তা পাঠান এবং ওই এলাকায় ইসরাইলি জাহাজের কী কাজ তা জানতে চান। জাহাজ থেকে সন্তোষজনক কোনো জবাব না পেয়ে তুর্কি সেনারা ইসরাইলি জাহাজকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তুর্কি নৌ বাহিনীর নির্দেশের মুখে কোনো উপায়ান্তর না দেখে ইসরাইলি জাহাজটি এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তুরস্ক স¤প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তার প্রভাব বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক ভূমধ্যসাগরের এ এলাকায় জ্বালানি তেলের সন্ধানে বেশ কয়েকবার যুদ্ধজাহাজ এবং ড্রিলিং জাহাজ পাঠিয়েছে। হাভের টিভি,টাইমস অব ইসরাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।