রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈঙ্গাকাটা গ্রামের পানিরছড়া খালে বাঁধ না হওয়ায় ইরিবোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শত শত একর জমিতে।
ওই এলাকার বন বিভাগের জনৈক কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতায় এলাকার ৪০০ শত একর জমিতে ইরি-বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। সৈয়দ আশিক আহমদ নামের ওই বন বিটকর্মকর্তার দাপটে ওই এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। পানির ছড়া খালের বাঁধ না হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এলাকার চার শত একর জমিতে ইরিবোরো চাষ।
এলাকার অধিবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭৯ সাল থেকে প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এলাকার শতাধিক পরিবারের লোকজন স্থানীয় পানিছড়া খালে বাঁধ দিয়ে প্রায় দু’শ’ একর জমি চাষাবাদ করে আসছেন। ওই খালে বাঁধ দিয়ে চাষাবাদের জন্য এলাকাবাসী ১৯৭৯ সালে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অনুমোদন লাভ করে। সেই থেকে এই পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক পরিবারের সহগ্রাধিক জনগণ সরকারি ওই খালে বাঁধ দিয়ে ইরিবোরো চাষ করে উপকৃত হয়ে আসছেন। এলাকায় শতাধিক পরিবারের সংখ্যালঘু চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজনও রয়েছেন। যারা এই বাঁধের পানি থেকে সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, ওই খালের বাঁধের পানি ছাড়া শুস্ক মৌসুমে এলাকার মানুষের চাষ বাস ছাড়াও ব্যবহারের পানির অন্য কোন ব্যবস্থা থাকে না।
কিন্তু সম্প্রতি হোয়াইক্যং বন অফিসের বন বিটকর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমদ হঠাৎ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ৪০ বছর ধরে জনগণের ভোগ দখল করে আসা ওই পানির ছড়া খালে বাঁধ দেয়ার ব্যাপারে বাধা প্রদান করে। এমনকি অনুমতি সাপেক্ষে বনবিভাগের উপকারভোগী লোকজনকে ও বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, বন বিট কর্মকর্তা আশিক আহমদ গত দেড় বছর আগে ওই বনবিটে যোগদান করেছেন।
সেখানে যোগদান করার পর থেকে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে তিনি পানের বরজের জায়গা লিজ দেয়ার কথা বলেন অবৈধভাবে টাকা গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি অনুমোদন সাপেক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের জমি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিনা কারণে কেড়ে নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে এলাকার জনগণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পরেও এখনো ওই বন কর্মকর্তার দাপট বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ আশিক আহমদে দাপট দেখানোর কথা অস্বীকার করলেও পানির ছড়া খালে বাঁধ দিতে বাধা দেয়ার ব্যাপার কোন সদ্বোত্তর দিতে পারেন নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।