রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ইরি-বোরো ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ উপজেলার কৃষকেরা ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে ধান কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি নতুন ধান ঘরে তুলতে পেরে কৃষকদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছাপ। কাজিপুর পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম-অঞ্চলে ইরি-বোরো ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। ধান কাটা মৌসুমের শুরুতেই শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে এ এলাকার কৃষকেরা প্রতিদিন হাট-বাজার ও বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। হতকাল সরজমিনে উপজেলার সোনামুখী, হরিনাথপুর, চালিতাডাঙ্গা, শিমুলদাইড়, মেঘাই, ঢেকুরিয়া, আলমপুর, উদগাড়ী, গান্ধাইল, সীমান্তবাজার, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, কুমারিয়াবাড়ী গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের ধান কাটতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলায় শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়ায় প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে ৪/৫শ’ টাকা লাগছে। আবার কিছু এলাকায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় দিনমজুরের ভিত্তিতে শ্রমিক লাগিয়ে ধান কাটাতে দেখা গেছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কাজিপুরে ১৩ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে। যা প্রতি বছরের টার্গেটের চেছে অনেক বেশি। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চলতি বছর কাজিপুরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ নতুন নতুন জাতের ধান রোপণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের ফলে কৃষক উপকৃত হয়েছে। ফলে ফলন ও ফসল বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল কাদের, রহমত আলী, আফজাল হোসেন, আমজাদ আলী, তোজাম্মেল হক জানায়, এবার তারা হাতের নাগালের মধ্যে রাসায়নিক সার পেয়েছে। সারের জন্য কোথাও ধর্ণা দিতে হয়নি। পাশাপাশি সেচ সুবিধা পাওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। তারা আরও জানায় বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। তাই সরকার কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। এতে তারা খুশি। প্রতি মণ ধান ৬শ’ থেকে ৬৫০শ’ টাকা দরে হাটে-বাজারে বিক্রি করতে পারছে। এতে তাদের উৎপাদন খরচের পাশাপাশি সারা বছরের খাবার সংগ্রহ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় এ উপজেলার কৃষকরা তড়িঘড়ি করে দ্বিগুণ মজুরী দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠের ধান ঘরে তুলতে পেরে কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছাপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।